পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । কিরূপে এই ৰেদান্ত আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে, নাগরিক জীবনে, গ্রাম্য জীবনে, প্রত্যেক জাতির জীবনে, প্রত্যেক জাতির গার্হস্থ্য জীবনে কার্ধ্যে পরিণত করিতে পারা যায়। কারণ, যদি ধৰ্ম্ম মানুষের সর্বাবস্থায় তাহাকে সহায়তা করিতে না পারে, তবে : উহার বিশেষ কোন মূল্য নাই—উহা কেবল কতকগুলি ব্যক্তির জন্ত মতবাদ মাত্র। ধৰ্ম্ম যদি সমগ্র মানবজাতির কল্যাণ করিতে চায়, তবে উহার এমন হওয়া উচিত যে, মানুষ সৰ্ব্বাবস্থায় উহার সহায়তা লইতে পারে—দাসত্বে বা স্বাধীনতায়—মহা অপবিত্রতা বা অত্যন্ত পবিত্রতার মধ্যে সৰ্ব্ব সময়েই যেন উহা সমানভাবে মানবজাতিকে সাহায্য করিতে পারে। তবেই কেবল বেদান্তের তত্ত্ব সকল অথবা ধৰ্ম্মের আদর্শ সকল অথবা উহাদের যে নামই দাও না কেন— কাযে আসিবে। আত্মবিশ্বাসরূপ আদর্শই মানবজাতির সর্বাধিক কল্যাণ সাধন করিতে পারে। যদি এই আত্মবিশ্বাস আরও বিস্তারিতভাবে প্রচারিত ও কাৰ্য্যে পরিণত করা হইত, আমার দৃঢ় বিশ্বাস যে, স্বগতে যত দুঃখ কষ্ট রহিয়াছে, তাহার অনেক হ্রাস হইত। সমগ্র মানবজাতির ইতিহাসে সকল শ্রেষ্ঠ নর নারীর মধ্যে যদি কোন ভাব বিশেষ কাৰ্য্যকর হইয় থাকে, তাহ এই আত্মবিশ্বাস—তাহারা এই জ্ঞানে জন্মিয়াছিলেন যে, তাহার শ্রেষ্ঠ হইবেন, আর তাহা ইয়াও ছিলেন। মানুষ যত ইচ্ছা অবনতভাবাপন্ন হউক না কেন, কিন্তু এমন এক সময় অবশু জাসিয়া থাকে, যখন কেবল ঐ অবস্থা। বিরক্ত হইয়াই তাহাকে উন্নতির চেষ্টা করিতে হয় ; তখন সে আপনার উপর বিশ্বাস করিতে শিখে । কিন্তু আমাদের পক্ষে రిశీలి ২৩