পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । গোড়া হইতেই ইহা জানিয়া রাখা ভাল। আমরা আত্মবিশ্বাস শিখিতে কেন এত ঘুরিয়া মরিব ? মানুষে মামুষে প্রভেদ কেবল এই বিশ্বাসের সম্ভাব ও অসম্ভাব লইয়া, ইহা একটু অনুধাবন করিয়া দেখিলেই বুঝা যাইতে পারে। এই আত্মবিশ্বাসের বলে সকলই সম্ভব হইবে। আমি নিজের জীবনে ইহা দেখিয়াছি, এখনও দেখিতেছি, আর যতই আমার বয়স হইতেছে, ততই এই বিশ্বাস দৃঢ় হইতে দৃঢ়তর হইতেছে ; যে আপনাকে বিশ্বাস না করে, সেই নাস্তিক। প্রাচীন ধৰ্ম্মে বলিত, যে ঈশ্বরে বিশ্বাস না করে সে নাস্তিক। নূতন ধৰ্ম্ম বলিতেছে, যে আপনাতে বিশ্বাস স্থাপন না না করে, সেই নাস্তিক। কিন্তু এই বিশ্বাস কেবল এই ক্ষুদ্র ‘আমি’কে লইয়া নহে, কারণ বেদান্ত আবার একত্ববাদ শিক্ষা দিতেছেন। এই বিশ্বাসের অর্থ সকলের প্রতি বিশ্বাস, কারণ তোমরা সকলে শুদ্ধস্বরূপ। আত্মপ্রতি অর্থে সৰ্ব্বভূতে প্রতি, কারণ, “তুমি দুইটী নাই—সকল তির্যাগ জাতির উপর প্রতি, সকল বস্তুর প্রতি প্রতি। এই মহান বিশ্বাসবলেই জগতের উন্নতি হইবে। আমার ইহা ধ্রুব ধারণা। তিনিই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ মনুষ্য, যিনি সাহস করিয়া বলিতে পারেন, আমি আমার নিজের সম্বন্ধে সম্পূর্ণ জানি ; তোমরা কি জান, তোমাদের এই দেহের ভিতরে কত শক্তি, কত ক্ষমতা এখনও লুক্কায়িত রহিয়াছে ? কোন বৈজ্ঞানিক মানবের ভিতরে যাহা যাহা আছে, সমুদয় জ্ঞাত হইয়াছেন ? লক্ষ লক্ষ বৎসর পূর্বব হইতে মানুষ ধরাধামে বাস করিতেছে, কিন্তু তাহার শক্তির অতি সামান্ত অংশমাত্রই এযাবৎ প্রকাশিত হই য়াছে। অতএব তুমি কি করিয়া আপনাকে জোর করিয়া ছৰ্ব্বল Wood 8