পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । বুদ্ধি তাহা করিতে পারে না। বিভিন্নরূপে শব্দযোজনার কৌশল, শাস্ত্রব্যাখ্যা করিবার বিভিন্ন কৌশল কেবল পণ্ডিতদের আমোদের জন্ত, মুক্তির জন্ত নহে।’ তোমাদের মধ্যে যাহার টমাস আকেম্পিসের ঈশা অনুসরণ পুস্তক পাঠ করিয়াছ, তাহারাই জান, প্রতি পৃষ্ঠায় কেমন তিনি ইহার উপর ঝোক দিতেছেন। জগতের প্রায় সকল মহাপুরুষই ইহার উপর ঝোক দিয়াছেন। বিচার আবগুক ; বিচার না করিলে আমরা নানা বিষম ভ্ৰমে পড়ি। বিচারশক্তি উহ! নিবারণ করে, এতদ্ব্যতীত বিচারভিত্তিতে আর কিছু নিৰ্ম্মাণ করিবার চেষ্ট করিও না । উহা একটী গৌণ সাহায্য মাত্র, কোন কাৰ্য্যকর নহে —প্রকৃত সাহায্য হয় ভাবে, প্রেমে। তুমি কি অপরের জন্ত প্রাণে প্রাণে অনুভব করিতেছ? যদি তুমি তাহ কর, তবে তোমার হৃদয়ে একত্বের ভাব বন্ধিত হইতেছে। যদি তুমি তাহ না কর, তবে তুমি একজন মহা বুদ্ধিজীবী হইতে পার, কিন্তু তোমার কিছুই হইবে না-কেবল গুস্ক বুদ্ধির ঢিবি হইয়াই থাকিবে। আর যদি তোমার হৃদয় থাকে, তবে একখানি বই পড়িতে না পারিলেও, কোন ভাষা না জানিলেও তুমি ঠিক পথে চলিতেছ। ঈশ্বর তোমার সহায় হইবেন। জগতের ইতিহাসে মহাপুরুষদের শক্তির কথা কি পাঠ কর নাই ? এ শুক্তি র্তাহারা কোথা হইতে পাইয়াছিলেন ? বুদ্ধি হইতে ? তাহদের মধ্যে কেহ কি দর্শনসম্বন্ধীয় সুন্দর পুস্তক লিখিয়া গিয়াছেন ? অথবা দ্যায়ের কূট বিচার লইয়া কোন গ্রন্থ লিথিয়াছেন ? কেহই এরূপ করেন নাই। তাহারা কেবল গুটিকতক రిచిలి