পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । কথা মাত্র বলিয়া গিয়াছেন। খ্রষ্টের ন্যায় হৃদয়সম্পন্ন হও, তুমিও খ্ৰীষ্ট হইবে ; বুদ্ধের স্তায় হৃদয়সম্পন্ন হও, তুমিও একজন বুদ্ধ হইবে। ভাবই জীবন, ভাবই বল, ভাবই তেজ—ভাব ব্যতীত যতই বুদ্ধির চালনা কর না কেন, কিছুতেই ঈশ্বর লাভ হইবে না । বুদ্ধি যেন চালনাশক্তিশূন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ন্যায়। যখন ভাব তাহাকে অনুপ্রাণিত করিয়া গতিযুক্ত করে, তখনই তাহ অপরের হৃদয় স্পর্শ করিয়া থাকে। জগতে চিরকালই এরূপ হইয়া আমিয়াছে, সুতরাং এই বিষয়টা তোমাদের স্মরণ থাকা বিশেষ আবশ্বক । বৈদান্তিক নীতিতত্ত্বে ইহা একটী বিশেষ কাযের শিক্ষা, কারণ, বেদান্ত বলেন, তোমরা সকলেই মহাপুরুষ—তোমাদের সকলকেই মহাপুরুষ হইতে হইবে। কোন শাস্ত্র তোমার কাৰ্য্যের প্রমাণ নহে, কিন্তু তুমিই শাস্ত্রের প্রমাণ। কোন শাস্ত্র সত্য বলিতেছে, তাহা কি করিয়া জানিতে পার ? তুমিও সেইরূপ অনুভব করিয়া থাক বলিয়। বেদান্ত ইহাই বলেন। জগতের খ্ৰীষ্ট ও বুদ্ধগণের বাক্যের প্রমাণ কি ? না, তুমি আমিও সেইরূপ অনুভব করিয়া থাকি। তাহাতেই তুমি আমি বুঝিতে পারি—সেগুলি সত্য। আমাদের ঐশ্বরিক আত্মা, তাহদের ঐশ্বরিক আত্মার প্রমাণ । এমন কি, তোমার ঈশ্বরত্ব ঈশ্বরেরও প্রমাণ। যদি তুমি বাস্তবিক মহাপুরুষ না হও, তবে ঈশ্বর সম্বন্ধেও কোন কথা সত্য নহে। তুমি যদি ঈশ্বর না হও, তবে কোন ঈশ্বরও নাই, কখনই হইবেনও না। বেদান্ত বলেন, এই আদর্শই অনুসরণীয়। আমাদের প্রত্যেককেই মহাপুরুষ হইতে হইবে-আর তুমি স্বরূপতঃ তাহাই আছ। কেবল উহা জ্ঞাত হও। আত্মার_পক্ষে কিছু অসম্ভব আছে, কখনও & \రిశ్రి