পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । পাওয়া যাইতেছে যে, ঐ বাণী বাস্তবিক আমাদের হৃদয়াভ্যস্তর ইতে উখিত। শিন্য বরাবরই সত্যসম্বন্ধে উপদেশ পাইতেছেন, কিন্তু তিনি ইহার যে ব্যাখ্যা দিতেছেন অর্থাৎ উহা যে বহির্দেশ হইতে পাওয়া যাইতেছে, তাহ সত্য নহে। আর এক তত্ত্ব ইহা হইতে পাওয়া যাইতেছে—কৰ্ম্মজীবনে ব্রহ্মোপলব্ধি—ব্রহ্মের সাক্ষাৎকার। ধৰ্ম্ম হইতে কাৰ্য্যতঃ কি সত্য পাওয়া যাইতে পারে, ইহাই সৰ্ব্বদা অন্বেষিত হইতেছে ; আর এই সকল গল্প পাঠে আমরা ইহা দেখিতে পাই, দিন দিন কেমন উহা তাহদের দৈনিক জীবনের অন্তর্গত হইয়া যাইতেছে। র্তাহাদিগকে যে সকল জিনিষের সঙ্গে সৰ্ব্বদা সংস্পর্শে আসিতে হইত, তাহাতেই তাহারা ব্ৰহ্ম উপলব্ধি করিতেছেন! অগ্নি—যাহাতে র্তাহারা প্রত্যহ হোম করিতেন, গহাতে ব্ৰহ্ম সাক্ষাৎকার করিতেছেন। এই পরিদৃশুমান পৃথিবীকে র্তাহার ব্রহ্মের একাংশরূপে জ্ঞাত হইতেছেন-ইত্যাদি ইত্যাদি । * পরবর্তী উপাখ্যানটী সত্যকামের এক শিষ্যসম্বন্ধীয়। ইনি সত্যকামের নিকট শিক্ষালাভার্থ তাহার নিকট কিয়ৎকাল বাস করিয়াছিলেন। সত্যকাম কাৰ্য্যবশতঃ কোন স্থানে গমন করিয়াছিলেন। তাহাতে শিন্যটা একেবারে ভগ্নহৃদয় হইয়া পড়িল। যখন গুরুপত্নী তাহার নিকট আসিয়া জিজ্ঞাসা লিনু বংস, তুমি কিছু খাইতেছ না কেন? তখন বালক গিলেন, আমার মন বড় অসুস্থ, তজ্জন্ত কিছু খাইতে ইচ্ছ। ইতেছে না ; এমন সময়ে তিনি যে অগ্নিতে হোম করিতেছিলেন, তাহা হইতে এই বাণী উঠিল, “প্রাণ ব্রহ্ম, মুখ ব্ৰহ্ম, আকাশ S}\o