পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । ইছাই বলিয়াছিল যে, যে চৈতন্ত স্থৰ্য্য, চন্দ্র, বিদ্যুৎ, অগ্নি এবং পৃথিবীর ভিতরে রহিয়াছেন, তিনি তাহদের ভিতরেও রহিয়াছেন, সুতরাং তাহানের চক্ষে সমস্তই আর এক রূপ ধারণ করিল। যে অগ্নি পূৰ্ব্বে কেবলমাত্র হোম করিবার জড় অগ্নিমাত্র ছিল, তাহ এক নূতনকপ ধারণ করিল ও প্রকৃত পক্ষে ভগবান হইয়া দাড়াইল। পৃথিবী আর এক রূপ ধারণ করিল, প্রাণ আর একরূপ ধারণ করিল, স্বৰ্য্য, চন্দ্র, তারা, বিদ্যুৎ সকলই আর এক রূপ ধারণ করিল, ব্রহ্মভাবাপন্ন হইয়া গেল। তাছাদের প্রকৃত স্বরূপ তখন পরিজ্ঞাত হইল। কারণ, আমাদের ইহা বিশেষরূপে জানা উচিত যে, বেদান্তের উদ্দেশ্যই এই—সমুদয় বস্তুতে ভগবান দর্শন করা, তাহারা যেরূপে আপাততঃ প্রতীয়মান হইতেছে, তাহা না দেখিয়া তাহাদিগকে তাহদের প্রকৃত স্বরূপে জ্ঞাত হওয়া । তার পর আর একট প্রস্তাব আছে, ইহা একটু অদ্ভূত রকমের । ‘যিনি চক্ষের মধ্যে দীপ্তি পাইতেছেন, তিনি ব্ৰহ্ম ; তিনি রমণীয় ও জ্যোতিৰ্ম্ময়। তিনি সমুদয় জগতেই দীপ্তি পাইতেছেন। এখানে ভাষ্যকার বলেন, পবিত্ৰাত্মা পুরুষগণের চক্ষে যে এক বিশেষ প্রকার জ্যোতির আবির্ভাব হয়, তাহাই এখানে চক্ষুষ জ্যোতির অর্থ। উহাকে সেই সৰ্ব্বব্যাপী আত্মার জ্যোতিঃ বলিয়া বর্ণনা করা হইয়া থাকে । সেই জ্যোতিই গ্ৰহগণে, এবং স্বর্য চন্দ্র তারায় প্রকাশ পাইতেছে । তোমাদের নিকট এক্ষণে জন্ম মৃত্যু প্রভৃতি সম্বন্ধে এই প্রাচীন উপনিষদ সকলের কতকগুলি অদ্ভুত অদ্ভূত মতের কথা বলিব। ইয়ত ইহা তোমাদের ভাল লাগিতে পারে। শ্বেতকেতু পঞ্চাল ৩৭১