পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ইহার সহিত নিগুণের ধারণ আসিতেছে—আর প্রত্যেক দেশেই এই নিগুণের ধারণা করা বিশেষ কঠিন ব্যাপার। মানুষ সৰ্ব্বদাই সগুণ ব্যক্তি লইয়া থাকিতে চায়। অনেক বড় বড় চিন্তাশীল লোক, অন্ততঃ জগৎ র্যাক্তাদিগকে খুব চিন্তাশীল লোক বলিয়া থাকে, তাহারা এই নিগুৰ্ণবাদের উপর বিরক্ত কিন্তু আমার এই সগুণবাদ অতিশয় হাস্তাম্পদ, অতিশয় নিম্নভাবাপন্ন, অতিশয় নীচজনোচিত, এমন কি, অতিশয় ভগবলিন্দাকর বলিয়া বোধ হয়। বালকের পক্ষে ভগবানকে একজন সাকার মনুষ্য বলিয়া ভাব শোভা পায়, সে ওরূপ ভাবিলে তাঙ্গাকে ক্ষমা করা যাইতে পারে ; কিন্তু বয়ঃস্থ ব্যক্তির পক্ষে-চিন্তাশীল নরনারীর পক্ষে—ভগবানকে স্ত্রী বা পুরুষ বলিয়া চিন্তা করা বড় লজ্জার কথা। উচ্চতর ভাব কোনটী—জীবিত ঈশ্বর বা মৃত্যু ঈশ্বর ? —যে ঈশ্বরকে কেহ দেখিতে পায় না, কেহ যাহার সম্বন্ধে কিছু জানে ন',- অথবা যে ঈশ্বর জ্ঞাত ? সময়ে সময়ে তিনি জগতে র্তাহার এক এক জন দূতকে প্রেরণ করিয়া থাকেন, র্তাহার এক হস্তে তরবারি, অপর হস্তে অভিশাপ, আর আমর যদি তাহার কথায় বিশ্বাস না করি, তবে একেবারে বিনাশ ! তিনি কেন নিজে আসিয়া, কি করিতে হইবে, আমাদের বলির না দেন ? তিনি কেন ক্রমাগত দূত পঠাইয়া আমাদিগকে শাস্তি ও অভিশাপ দিতেছেন ? কিন্তু এই বিশ্বাসেই অনেক লোক সন্তুষ্ট । আমাদের কি নীচতা ! অপর পক্ষে, নিগুণ ঈশ্বরকে জীবন্তরূপে আমার সম্মুণে দেখিতেছি ; তিনি একটা তত্ত্বমাত্র। সগুণ নিগুণের মণে ○bべ