পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । জানুর আমি কেবল ভগবানের সত্তা অনুভব করিতেছি । ভালমন্দ বা জীবনমৃত্যু কিছুই দেখিতেছি না। বেদান্তমতে মানুষ যখন এই অনুভূতিসম্পন্ন হয়, তখন সে মুক্ত হইয়া যায় আর বেদান্ত বলেন, সেই ব্যক্তিই কেবল জগতে বাস করিবার উপযুক্ত, অপরে নহে। যে ব্যক্তি জগতে অন্যায় দেখে, সে কিরূপে জগতে বাস করিতে পারে ? তাহার জীবন ত দুঃখময় । যে ব্যক্তি এখানে নানা বিপ্লবাধা বিপদ দেখে, তাহার জীবন ত দুঃখময়, যে ব্যক্তি জগতে মৃত্যু দেখে, তাহার জীবন ত দুঃখময় । যে ব্যক্তি প্রত্যেক বস্তুতে সেই সত্যস্বরূপের দর্শন করিয়াছে, সেই ব্যক্তিই কেবল জগতে বাস করিবার উপযুক্ত ; সেই কেবল বলিতে পারে, আমি এই জীবন সম্ভোগ করিতেছি, আমি এই জীবন লইয়া বেশ মুখী । এখানে আমি ইহা বলিয়া রাখিতে পারি যে, বেদে কোথাও নরকের কথা নাই । বেদের অনেক পরবর্তী পুরাণে এই নরকের প্রসঙ্গ আছে। বেদে সৰ্ব্বাপেক্ষ অধিক শাস্তির কথা এই পাওয়া যায়-পুনর্জন্ম, অর্থাৎ আর একবার উন্নতির সুবিধালাভ করা। প্রথম হইতেই নিগুণের ভাব আসিতেছে, দেখিতে পাওয়া যায় । পুরস্কার ও শাস্তির ভাবই খুব জড়ভাবাত্মক, আর ঐ ভাব কেবল মানুষের ঠায় সগুণ ঈশ্বরবাদেই সম্ভব হয়—যিনি আমাদেরই দ্যায় একজনকে ভালবাসেন, অপরকে বাসেন না। এরূপ ঈশ্বরধারণার সচিতই পুরস্কার ও শাস্তির ভাব সঙ্গত হইতে পারে। সংহিতার ঈশ্বর এইরূপ ছিল । সেখানে ঐ ধারণার সঙ্গে তয়ও মিশ্রিত ছিল, কিন্তু উপনিষদে এই ভয়ের ভাব একেবারে লোপ পাইয়াছে ; S*> -