পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । তমেব বিদিত্বাতিমৃত্যুমেতি, ; নান্তঃ পন্থা বিস্তুতেইয়নায়। ২৫ ও ৩৮।

  • - শ্বেতাশ্বতর উপনিষৎ ।

ঐ উপনিষদ হইতে আমরা এই উক্তিও পাইতেছি যে, মায় আমাদের চারিদিকে ঘেরিয়া রহিয়াছে এবং উহা অতি ভয়ঙ্কর। মায়ার মধ্য দিয়া কাৰ্য্য করা, অসম্ভব। যিনি বলেন, আমি এই নদীতীরে বসিয়া থাকি, যখন সমস্ত জল সমুদ্রে গিয়া মিশিবে, তখন আমি নদী পার হইব, তাকার বাক্য যেমন মিথ্যা, যিনি বলেন যতদিন না পৃথিবী পূর্ণমঙ্গলময় হয়, ততদিন কাৰ্য্য করিয়া অনন্তর পৃথিবী সম্ভোগ করিব, তাহার কথাও তদ্রুপ মিথ্যা। উভয়ের কোনটাই হইবে না। মায়ার মধ্য দিয়া পথ নাই, মায়ার বিরুদ্ধ গমনই পথ—এ কথাও শিক্ষা করিতে হইবে। আমরা প্রকৃতির সাহায্যকারী হইয়া জন্মগ্রহণ করি নাই, কিন্তু তাহার প্রতিবাদী হইয়াই জন্মিয়াছি। আমরা বন্ধনের কৰ্ত্ত হইয়াও আপনাদিগকে বন্দী করিতে চেষ্টা করিতেছি। এই বাট কোথা হইতে আসিল ? প্রকৃতি ইহা প্রদান করে নাই। প্রকৃতি বলিতেছে—যাও, বনে গিয়া বাস কর। মানব বলিতেছে—“আমি বাটা নিৰ্মাণ করিব, প্রকৃতির সহিত যুদ্ধ করিব। সে তাহাই করিতেছে। মানবজাতির ইতিহাস প্রাকৃতিক নিয়মের সহিত যুদ্ধই প্রদর্শন করে এবং মনুষই অবশেষে বিজয়ী হয়। অন্তর্জগতে আসিয়া দেখ, সেখানেও সেই যুদ্ধ চলিয়াছে; ইহা পশিব মানব ও আধ্যাত্মিক মানবের সংগ্রাম ; আলোক ও অন্ধকারে সংগ্রাম। মানব এখানেও বিজেতা। মানব এই স্বাধীনতা-পদবী প্রাপ্ত হইতে . ৩৬ -