পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । এই প্রকার বিপরীত ব্যাখ্যারূপ আশঙ্কার সম্ভাবনা স্বীকার করিয়া লইলেও ইহা কি প্রমাণ করা যাইতে পারে, অপর পক্ষে ঐ আশঙ্কা নাই ? লোকে আপনা হইতে পৃথক স্বৰ্গস্থ ঈশ্বরের উপাসনা করিতেছে, তাহাকে তাহারা খুব ভয় করিয়া থাকে। তাহারা কেবল ভয়ে কঁাপিতে থাকে আর সারা জীবন এইরূপ কাপিয়া কাটাইয় দেয়। ইহাতে কি জগৎ পূৰ্ব্বাপেক্ষ ভাল হইয়াছে ? তুমি ত অপর পক্ষকেও ঐ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করিতেছিলে। যাহারা সগুণ ঈশ্বরবাদ বুঝিয় তাহাকে উপাসনা করিয়াছেন, এবং র্যাহার। নিগুণ ঈশ্বরতত্ত্ব বুঝিয় তাহার উপাসনা করিয়াছেন, তাঙ্গদের মধ্যে কোন সম্প্রদায়ের ভিতর হইতে জগতের বড় বড় লোক হইয়াছেন ?—মহা কম্মিগণ-মহা চরিত্রবলশালিগণ ? অবশুই নিগুণ সাধকদের মধ্য হইতে । ভয় হইতে চরিত্রবান পুরুষ জন্মিবে, ইহা কিরূপে আশা করিতে পার ? অবশু ইহা কখনই হইতে পারে না। যেখানে একজন অপরকে দেখে, যেখানে একজন অপরের হিংসা করে, সেইখানেই মায়া । যেখানে একজন অপরকে দেখে না, একজন অপরকে হিংসা করেন, যেখানে সবই আত্মাময় হইয়া যায়, সেখানে আর মায় থাকে না ।” তখন সবই তিনি অথবা সবই আমি—তখন আত্মা পবিত্র হইয়া যায় । তখনই, কেবল তখনই আমরা প্রেম কাহাকে বলে, বুঝিতে পারি। ভয় হইতে কি এই প্রেমের উৎপত্তি সম্ভব ? প্রেমের ভিত্তি স্বাধীনতা। স্বাধীনতা-মুক্তভাব-হইলেই তবে প্রেম আসে। তখনই আমরা বাস্তবিক জগৎকে ভালবাসিতে আরম্ভ করি ও সাৰ্ব্বজনীন ভ্ৰাতৃভাবের অর্থ বুঝিতে পারি—তাহার পূর্কে নহে। ©bሠዓ