পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ইচ্ছা থাকুক বা না থাকুক, তাহাকে এই দারিদ্র্য সহ করিতেই হইবে। তাহার পক্ষে ইহা অভেদ্য নিয়মস্বরূপ, সুতরাং সে কষ্ট পায়। তুমি আমি যতক্ষণ না আমাদের স্বরূপ জ্ঞাত হইতেছি, তক্ত ক্ষণ ভিক্ষুকমাত্র প্রকৃতির অন্তর্গত প্রত্যেক বস্তুই আমাদিগকে দাদ করিয়া রাখিয়াছে। আমরা সমুদয় জগতে সাহায্যের জন্ত চীৎকার করিয়া বেড়াইতেছি—শেষে কাল্পনিক জীবগণের নিকট পর্য্যস্ত সাহায্য চাহিতেছি, কিন্তু কোন কালে এই সাহায্য আসিল না ! তথাপি ভাবিতেছি এইবার সাহায্য পাইব-ভাবিয়া কাদিতেছি, চীৎকার করিতেছি, আশা করিয়া বসিয়া আছি, ইতিমধ্যে একটা জীবন কাটিল, আবার সেই খেলা চলিতে লাগিল । মুক্ত হও; অপর কাহারও নিকট কিছু আশা করিও না। আমি নিশ্চিত বলিতে পারি, তোমরা যদি তোমাদের জীবনের অতীত ঘটনা স্মরণ কর, তবে দেখিবে, তোমরা সৰ্ব্বদাই বৃথা অপরের নিকট সাহায্য পাইবার চেষ্টা করিয়াছ, কিন্তু কখন পাও নাই ; যাহা কিছু সাহায্য পাইয়াছ, সবই আপনার ভিতর হইতে। তুমি নিজে যাহার জন্য চেষ্টা করিয়াছ, তাহাই ফলরূপে পাইয়াছ, তথাপি কি আশ্চৰ্য্য,তুমি সৰ্ব্বদাই অপরের নিকট সাহায্য প্রার্থনা করিয়াছ ! ধনীদিগের বৈঠকখানায় খানিকক্ষণ বসিয়া যদি লক্ষ্য কর, তাহ হইলে বেশ তামাস দেখিতে পাইৰে! দেখিবে, উহা সৰ্ব্বদাই পুর্ণ, কিন্তু এখন উহাতে যে দল রহিয়াছে, খানিক পরে আর সে দল নাই। সৰ্ব্বদাই তাহারা আশা করিতেছে, ধনী ব্যক্তির নিকট হইতে কিছু আদায় করিবে, কিন্তু কখনই তাহা করিতে পারে না। আমাদের জীবনও তদ্রুপ ; কেবল আশা করিয়াই চলিয়াছি, ইহার లినది