পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । শেষ নাই। বেদান্ত বলেন, এই আশা ত্যাগ কর । কেন আশা করিতে যাইবে ! সবই তোমার রহিয়াছে। তুমি আত্ম, তুমি সম্রাটু স্বরূপ, তুমি আবার কিসের আশা করিতেছ? যদি রাজা পাগল হইয় আপন দেশে ‘রাজা কোথায়, রাজা কোথায়, বলিয়া খুজিয়া বেড়ান, তিনি কখনই রাজার উদ্দেশ পাইবেন না, কারণ, তিনি স্বয়ংই রাজা । তিনি তাহার রাজ্যের প্রত্যেক গ্রাম, প্রত্যেক নগর—এমন কি, প্রত্যেক গৃহ পৰ্য্যন্ত তন্ন তন্ন করিয়া দেখিতে পারেন, তিনি মহা চীৎকার করিয়া ক্ৰন্দন করিতে পারেন, তথাপি রাজার উদ্দেশ পাইবেন না, কারণ, তিনি নিজেই রাজা । আমরা যদি জানিতে পারি, আমরা রাজা, আর এই রাজার অন্বেষণরূপ অনর্থক চেষ্ট ত্যাগ করিতে পারি, তবে বড় ভাল হয়। বেদান্ত বলেন, এইরূপে আপনাদিগকে রাজস্বরূপ জানিতে পারিলেই আমরা সন্তুষ্ট ও সুখী হইতে পারি। এই সব ভূতের ব্যাগার ছাড়িয়া দাও, দিয়া জগতে খেলা করিতে থাক । এইরূপ অবস্থা লাভ করিতে পারিলে আমাদের দৃষ্টি পরিবাৰ্ত্তত হইয়া যায়। অনন্ত কারণস্বরূপ না হইয়। এ জগৎ ক্রীড়াস্থানরূপে পরিণত হয়। প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র না হইয়া ইহা ভ্রমরগুঞ্জিত পূর্ণ বসন্তকালের রূপ ধারণ করে। পূর্বে এই জগৎ নরককুগুরূপে প্রতীয়মান হইতেছিল, তখন তাহাই স্বর্গে পরিণত হইয়া যায়। বন্ধের দৃষ্টিতে ইহা এক মহা যন্ত্রণার স্থান, কিন্তু মুক্তব্যক্তির দৃষ্টিতে ইহাই স্বর্গ, স্বর্গ অন্যত্র নাই। এক প্রাণই সৰ্ব্বত্র বিরাজিত। পুনশ্ৰয়াদি যাহা কিছু হয়, সবই এখানে হইয়া থাকে। দেবতারা সকলেই এখানে—ৰ্তাহারা মনুষ্যাদর্শের অনুসারে কল্পিত । \రిసి)