পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । করিতে লাগিলেন। পিতা তাহাকে নানাবিষয় শিখাইয়া অবশেষে বলিলেন, ‘এই সকল বস্তুর যে সুক্ষ কারণ, তাহা হইতেই ইহার নিৰ্ম্মিত, ইহাই সব, ইহাই সত্য, হে শ্বেতকেতো তুমি তাহাই। তারপর তিনি ইহা বুঝাইবার জন্য নানা উদাহরণ দিতে লাগিলেন। ‘হে শ্বেতকেতে, যেমন মধুমক্ষিকা বিভিন্ন পুষ্প হইতে মধুসঞ্চয় করিয়া একত্র করে, এবং এই বিভিন্ন মধুগণ যেমন জানে না ;ে তাহার। কোথা হইতে আসিয়াছে, সেইরূপ আমরাও সেই সং হইতে উৎপন্ন হইয়াও তাহা ভুলিয়া গিয়াছি। অতএব ঠে শ্বেতকেতো, তুমি তাহাই । যেমন বিভিন্ন নদী বিভিন্ন স্থানে উৎপন্ন হইয়া সমুদ্রে পতিত হয়, কিন্তু এই নদীসকল যেমন জানে না, ইহার কোথা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, সেইরূপ আমরাও সেই সৎস্বরূপ হইতে আসিয়াছি বটে, কিন্তু আমরা জানি না যে, আমরা তাহাই। হে শ্বেতকেতো, তুমি তাহাই।’ পিতা পুত্রকে এইরূপ উপদেশ দিতে লাগিলেন । এক্ষণে কথা এই, সকল জ্ঞানলাভেরই দুইটা মূলস্থত্র আছে। একটী স্বত্র এই, বিশেষকে সাধারণে, এবং সাধারণকে আবার সাৰ্ব্বভৌমিক তত্ত্বে সমাধান করিয়া জ্ঞানলাভ করিতে হইবে । দ্বিতীয় সূত্র এই, যে কোন বস্তুর ব্যাখ্যা করিতে হইবে, যন্তর সম্ভব, সেই বস্তুর স্বরূপ হইতেই তাহার ব্যাখ্যা অন্বেষণ করিতে হইবে। প্রথম স্বত্রটা ধরিয়া আমরা দেখিতে পাই, আমাদের সমুদয় জ্ঞান বাস্তবিক উচ্চ হইতে উচ্চতর শ্রেণীবিভাগ মাত্র। একটা কিছু যখন ঘটে, তখন আমরা যেন অতৃপ্ত হই। যখন ইহা দেখান যায় যে, সেই একই ঘটনা পুনঃ পুনঃ ঘটতেছে, তখন আমরা ত্বং ᏬᏜb~