পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । স্থই ও উহাকে ‘নিয়ম’ আখ্যা দিয়া থাকি। যখন একটী প্রস্তর অথবা আপেল পড়িতে দেখিতে পাই, তখন আমরা অতৃপ্ত হই। কিন্তু যখন দেখি, সকল প্রস্তর বা আপেলই পড়িতেছে, তখন আমরা উহাকে মাধ্যাকর্ষণের নিয়ম বলি এবং তৃপ্ত হইয়া থাকি। ব্যাপার এই, আমরা বিশেষ হইতে সাধারণ তত্ত্বে গমন করিয়া থাকি। ধৰ্ম্মতত্ত্ব আলোচনা করিতে হইলেও ইহাই একমাত্র বৈজ্ঞানিক প্রণালী । ধৰ্ম্মতত্ত্ব আলোচনা করিতে গেলে এবং উহাকে বৈজ্ঞানিকভাবে পরিণত করিতে গেলেও আমাদিগকে সেই মূলস্থত্রের অমুসরণ করিতে হইবে। বাস্তবিক আমরা দেখিতে পাই, এই প্রণালীই অনুস্থত হইয়াছে। এই উপনিষদ, যাহা হইতে তোমাদিগকে শুনাইতেছি, তাহাতেও দেখিতে পাই, সৰ্ব্বপ্রথমে এই ভাবের অভু্যদয় হইয়াছে—বিশেষ হইতে সাধারণে গমন । আমরা দেখিতে পাই, কিরূপে দেবগণ ক্রমশঃ একে লয় হইয়া এক তত্ত্বরূপে পরিণত হইতেছেন ; জগতের ধারণায়ও তাহার। ক্রমশ: কেমন অগ্রসর হইতেছেন, কেমন সুক্ষ ভূত হইতে র্তাহারা স্বগ্নতর ও অধিকতর ব্যাপী ভূতে যাইতেছেন, কেমন তাহারা বিশেষ বিশেষ ভূত হইতে আরম্ভ করিয়া অবশেষে এক সৰ্ব্বব্যাপী আকাশতত্ত্বে উপনীত হইতেছেন, কিরূপে তথা হইতেও অগ্রসর হইয় তাহার প্রাণনামক সৰ্ব্বব্যাপিনী শক্তিতে উপনীত হইতেছেন, আর এই সকলের ভিতরই আমরা এই এক তত্ত্ব পাইতেছি যে, একটী বস্তু অপর সকল বস্তু হইতে পৃথক নহে। আকাশই স্বক্ষতররূপে প্রাণ এবং প্রাণ আবার স্থূল হইয়া আকাশ হয়, আকাশ আবার স্থল হইতে স্থলতর হইতে থাকে, ইত্যাদি। ᏬᎼᎽ