পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । লাগিয়া আছে ? দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, বেধ কি জড়পদার্থ নামক দ্রব্যবিশেষে লাগিয়া আছে ? আর এই গুণগুলি না থাকিলেও দ্রব্যটার অস্তিত্ব থাকে কি না ? এক্ষণে বৌদ্ধ আসিয়া বলিতেছেন, এরূপ একটা দ্রব্যের অস্তিত্ব স্বীকার করার কোন প্রয়োজন নাই, এই গুণগুলিরই কেবল অস্তিত্ব আছে। উহার অতিরিক্ত তুমি আর কিছু দেখিতে পাও না আর ইহাই আধুনিক অধিকাংশ অজ্ঞেয়বাদীর মত, কারণ, এই দ্রব্যগুণের বিচার আর একটু উচ্চভূমিতে লইয়া গেলে দেখা যায়, উহা ব্যবহারিক ও পারমার্থিক সত্তার বিচার। এই দৃপ্ত জগৎ—নিত্যপরিণামশীল জগৎ রহিয়াছে আর হার সঙ্গে সঙ্গে এমন কিছুও রহিয়াছে, যাহার কথন পরিণাম হয় না, আর কেহ কেহ বলেন, এই দ্বিবিধ পদার্থেরই অস্তিত্ব আছে। আবার অনেকে অধিকতর যুক্তির সহিত বলেন, আমাদের এই উভয় পদার্থ মানিবার কোন আবশুক নাই, কারণ, আমরা যাহা দেখি, অনুভব করি বা চিন্তা করি, তাহ কেবল দৃশুপদার্থ মাত্র। দৃঙ্গের অতিরিক্ত কোন পদার্থ মানিবার তোমার কোন অধিকার নাই । এষ্ট কথার কোন সঙ্গত উত্তর প্রাচীনকালে কেহ দিতে পারেন নাই। কেবল আমরা বেদান্তের অদ্বৈতবাদ হইতে ইহার উত্তর পাইয়া থাকি— এক বস্তুরই কেবল অস্তিত্ব আছে, তাহাই কখন দ্রষ্ট৷ কখন বী দৃপ্তরূপে প্রকাশ পাইতেছে। ইহা সত্য নহে যে, পরিণামশীল বস্তুর সত্তা আছে, আর তাহারই অভ্যন্তরে—অপরিণামী বস্তুও রহিয়াছে, কিন্তু সেই এক বস্তুই যাহা পরিণামশীল বলিয়া প্রতিভাত হইতেছে, বাস্তবিক পক্ষে তাছা অপরিণামী । 8oళి