পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । ঘোর অবিশ্বাসী দেখা যায়। অবশিষ্ট লোকে ধৰ্ম্ম একেবারে ছাড়িয়া দেয়, উহা হইতে দূরে পলাইয়া যায়, যেন উহার সহিত কোন সম্পর্কই রাখিতে চায় না, উহাকে পুরোহিতদের জুয়াচুরি মনে করে । ধৰ্ম্ম এক্ষণে জাতীয়ভাবে পরিণত হইয়াছে। উহা আমাদের প্রাচীন সমাজের একটা মহান উত্তরাধিকার ; অতএব উহাকে থাকিতে দাও—ইহাই আমাদের ভাব। কিন্তু আধুনিক লোকের পূৰ্ব্বপুরুষ উহার জন্য যে প্রকৃত আগ্রহ বোধ করিতেন, এক্ষণে তাহা চলিয়া গিয়াছে ; লোকে উহাকে এখন যুক্তিযুক্ত মনে করে না। এইরূপ সগুণ ঈশ্বর ও স্বষ্টির ধারণা, যাহাকে সচরাচর সকল ধৰ্ম্মেই একেশ্বরবাদ বলে, তাহাতে এখন লোকের প্রাণ তৃপ্ত হয় না । আর ভারতে বৌদ্ধদের প্রভাবে উহা প্রবল হইতে পায় নাই ; আর এই বিষয়েই বেীদ্ধের প্রাচীনকালে জয়লাভ করিয়াছিলেন। তষ্ঠার ইহা দেখাইয়া দিলেন, যদি প্রকৃতিকে অনন্তশক্তিসম্পন্ন বলিঃ মানা যায়, যদি প্রকৃতি উহার আপন অভাব আপনিই পূর্ণ করিতে পারে, তবে প্রকৃতির অতীত কিছু আছে, ইহা স্বীকার করা অনাবশুক। আত্মার অস্তিত্ব স্বীকার করিবারও কোন প্রয়োজন নাই। এই বিষয়ে প্রাচীন কাল হইতে একটা তর্ক বিতর্ক চলিয়া আসিতেছে। এখনও সেই প্রাচীন কুসংস্কার জীবিত রহিয়াছে—দ্রব্য ও গুণের বিচার। . ইউরোপে মধ্যযুগে, এমন কি, দুঃখের সহিত আমাকে বডি হইতেছে, তাহার অনেক দিন পর পর্যন্তও এই একটা বিশে বিচারের বিষয় ছিল যে, গুণ দ্রব্যে লাগিয়া আছে, মা দ্রব্য " ৪০২