পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ। (লণ্ডনে প্রদত্ত বক্ততা । ) মাধুর্য এই পঞ্চেস্ক্রিয়গ্রাহ জগতে এতদূর জাসক্ত যে, সে সহজে উহা ছাড়িতে চাহে না। কিন্তু সে এই বাহ জগৎকে যতদূর সত্য ও সার বলিয়া বোধ করুক না কেন, প্রত্যেক ব্যক্তি এবং প্রত্যেক জাতির জীবনেই এমন সময় আইসে, যখন তাহাদিগকে অমিচ্ছা সত্বেও জিজ্ঞাসা করিতে হয়—জগৎ কি সত্য ? যে ব্যক্তি র্তাহার পঞ্চেজিয়ের সাক্ষ্যে অবিশ্বাস করিবার বিন্দুমাত্রও সময় পান না, যাহার জীবনের প্রতি মুহূৰ্ত্তই কোন না কোনরূপ বিষয়-ভোগে নিযুক্ত, মৃত্যু তাহারও নিকট আসিয়া উপস্থিত হয় এবং তঁহাকেও বাধ্য হইয় জিজ্ঞাসা করিতে হয়, জগৎ কি সত্য ? এই প্রশ্নেই ধর্মের আরম্ভ এবং উহার উত্তরেই ধর্মের পর্যাপ্তি। এমন কি, স্থদুর অতীত কালে, যথায় প্রণালীবদ্ধ ইতিহাসের অনধিকার, সেই রহস্যময় পৌরাণিক যুগেও, সেই সভ্যতার অস্ফুট উষাকালেও আমরা দেখিতে পাই, এই একই প্রশ্ন তখনও জিজ্ঞাসিত হইয়াছে— “জগৎ কি সত্য ?” - - r কবিময় কঠোপনিষদের প্রারম্ভে আমরা এই প্রশ্ন দেখিতে পাই, “মাকুৰ মরিয়া গেলে কেহ কেহ বলেন, তাহার জার অস্তিত্ব থাকে না, কেহ কেহ আবার বলেন, ন, তখন তাহার অস্তিত্ব