পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । এই বিচারের ফল কি হইল ? ফল এই হইল সকল যে, ঈশ্বরের সগুণ ধারণাই পৰ্য্যাপ্ত নহে । আমাদিগকে আরও উচ্চতর ধারণা করিতে হইবে অর্থাৎ নিগুণের ধারণ চাই। উহা দ্বারা যে সগুণ ধারণা নষ্ট হইবে, তাঙ্ক নহে। আমরা সগুণ ঈশ্বরের অস্তিত্ব নাই, ইহা প্রমাণ করিলাম না, কিন্তু আমরা দেখাইলাম যে, যাহা আমরা প্রমাণ করিলাম, তাছাই একমাত্র ন্যায়সঙ্গত সিদ্ধান্ত। মানুষকেও আমরা এইরূপে সগুণ নিগুণ উভয়াত্মক বলিয়া থাকি। আমরা সগুণও বটে, আবার নিগুণও বটে। অতএব আমাদের প্রাচীন ঈশ্বরধারণা অর্থাৎ ঈশ্বরের সগুণ ধারণ, তাহাকে কেবল একটা ব্যক্তি বলিয়া ধারণা, অবশুই চলিয়া যাওয়া চাই, কারণ, মানুষকে যে ভাবে সগুণ নিগুণ উভয়ই বলা যায়, আর একটু উচ্চতর ভাবে ঈশ্বরকেও সেইভাবে সগুণ নিগুণ উভয়ই বলা যায়। অতএব সগুণের ব্যাখ্যা করিতে হইলে অবশুই অবশেষে আমাদিগকে নিগুণ ধারণায় যাইতে হইবে, কারণ, নিগুৰ্ণ ধারণ সগুণ ধারণা হইতে উচ্চতর ভাবে সমাধান । অনন্ত কেবল নিগুণই হইতে পারে, সগুণ কেবল সান্তমাত্র। অতএব এই ব্যাখ্যা দ্বারা আমরা সগুণের রক্ষাষ্ট করিলাম, উহাকে উড়াইয়া দিলাম না। অনেক সময়ে এই সংশয় আইসে, নিগুণ ঈশ্বরের ধারণায় সগুণ ধারণা নষ্ট হইয়া যাইবে, নিগুৰ্ণ জীবাত্মার ধারণায় সগুণ জীবাত্মার ভাব নষ্ট হইয় যাইবে, বাস্তবিক কিন্তু উহাতে আমিত্বের নাশ না হইয়া উহার প্রকৃত রক্ষা হইয় থাকে। আমরা সেই অনন্ত সত্তায় সমাধান না করিয়া ব্যক্তির অস্তিত্ব কোনরূপে প্রমাণ করিতে পারি না। 80 (t