পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । যদি আমরা ব্যক্তিকে সমুদয় জগৎ হইতে পৃথক্ করিয়া ভাবিতে চেষ্টা করি, তবে কখনই তাহতে সমর্থ হইব না, ক্ষণকালের জন্যও ওরূপ ভাবা যায় না। দ্বিতীয়তঃ, পূৰ্ব্বোক্ত দ্বিতীয় তত্বের আলোকে আমরা আরও কঠিন ও দুৰ্ব্বোধ্য তত্ত্বে উপনীত হই। যদি সকল বস্তুকে তাহার স্বরূপ হইতে ব্যাখ্যা করিতে হয়, তাহ হইলে এই দাড়ায় যে, সেই নিগুণ পুরুষ—সামান্তীকরণপ্রক্রিয়ায় আমরা যে সৰ্ব্বোচ্চ তত্ত্বে উপনীত হইয়াছি, তাহা আমাদের ভিতরেই রহিয়াছে, বাস্তবিক পক্ষে আমরা তাহাই। 'ছে শ্বেতকেতে, তত্ত্বমসি’— তুমি তাহাই, তুমিই সেই নিগুণ পুরুষ, তুমিই সেই ব্রহ্ম, র্যাহাকে তুমি সমুদয় জগৎ খুজিয়া বেড়াইতেছ, তাহ সৰ্ব্বদাই তুমি স্বয়ং। তুমি কিন্তু ব্যক্তি অর্থে নহে, নিগুণ অর্থে। আমরা এই যে মানুষকে জানিতেছি, র্যাহাকে ব্যক্ত দেখিতেছি, তিনি বাস্তবিক সগুণ হইয়াছেন, কিন্তু তাহার প্রকৃত সত্তা নিগুণ । এই সগুণকে জানিতে হইলে আমাদিগকে নিগুণের ভিতর দিয়া জানিতে হইবে, বিশেষকে জানিতে হইলে সাধারণের ভিতর দিয়া জানিতে হইবে । সেই নিগুণ সত্তাই বাস্তবিক সত্য, তিনিই মানুষের আত্মাস্বরূপ–এই সগুণ ব্যক্ত পুরুষকে সত্য বল হয় নাই । এ সম্বন্ধে অনেক প্রশ্ন উঠিবে। আমি ক্রমশঃ সেই গুলির উত্তর দিবার চেষ্টা করিব। অনেক কুট উঠবে, কিন্তু উহাদের মীমাংসার পূৰ্ব্বে আমরা অদ্বৈতবাদ কি বলেন, তাহা বুঝিতে চেষ্ট করি আইস। অদ্বৈতবাদ বলেন, এই যে ব্রহ্মাও দেখিতেছি, ט\ 84