পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৰ্ম্মজীবনে বেদান্ত । এরূপ স্বীকার করিবার আবশুকতাই একেবারে অস্বীকার করিতেছেন। একদল বলিতেছেন, আমরা অপরিণামী সত্তার ধারণা ব্যতীত পরিণাম ভাবিতেই পারি না, অপর দল যুক্তি দেখান, এরূপ স্বীকার করার কোন প্রয়োজন নাই ; আমরা কেবল পরিশামী পদার্থেরই ধারণা করিতে পারি। অপরিণামী সত্তাকে আমরা জানিতে, অনুভব করিতে বা প্রত্যক্ষ করিতে পারি না। ভারতেও এই মহান প্রশ্নের সমাধান অতি প্রাচীনকালে প্রাপ্ত হওয়া যায় নাই, কারণ, আমরা দেখিয়াছি, গুণসমূহের পশ্চাতে অবস্থিত অথচ গুণভিন্ন পদার্থের সত্তা কখনই প্রমাণ করা যাইতে পারে না ; শুধু তাহাই নহে, আত্মার অস্তিত্বের অহংসারূপ্যগত প্রমাণ, স্মৃতি হইতে আত্মার অস্তিত্বের যুক্তি,—কালও যে আমি ছিলাম, আজও সেই আমি আছি, কারণ, আমার উহা স্মরণ আছে, অতএব আমি বরাবর আছি, এই যুক্তিও কোন কাযের মহে। আর একটা যুক্ত্যাভাস যাহা সচরাচর কথিত হইয়া থাকে, তাহ কেবল কথার মারপ্যাচ মাত্র । “আমি যাচ্চি', ‘আমি খাচ্চি', 'আমি স্বপ্ন দেখ চি’, ‘আমি ঘুমুচ্চি’, ‘আমি চলচি" এইরূপ কতকগুলি বাক্য লইয়া তাহারা বলেন-কর, বাওয়া, স্বপ্ন দেখ, এ সব বিভিন্ন পরিণাম বটে, কিন্তু উহাদের মধ্যে, "আমি’টী নিত্যভাবে রহিয়াছে। এইরূপে তাহার। সিদ্ধাপ্ত করেন যে, এই ‘আমি নিত্য ও স্বয়ং একটা ব্যক্তি আর ঐ পরিণামগুলি শরীরের ধৰ্ম্ম। এই যুক্তি আপাততঃ খুব উপাদেয় ও স্বম্পষ্ট বোধ হইলেও বাস্তবিক উহা কেবল কথার মারপেচের উপর স্থাপিত। এই আমি এবং করা, যাওয়া, স্বপ্ন দেখা প্রভৃতি 8న