পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । কাগজে কলমে পৃথক হইতে পারে, কিন্তু মনে কেহই ইহাদিগকে পৃথক্ করিতে পারে না । যখন আমি আহার করি, থাইতেছি বলিয়া চিন্তা করি, তখন আহার কার্য্যের সহিত আমার তাদাত্ম্যভাব হইয়া যায়। যখন আমি দৌড়াইতে থাকি, তখন আমি ও দৌড়ান দুইটী পৃথক বস্তু থাকে না। অতএব এই যুক্তি বড় দৃঢ় বলিয়া বোধ হয় না। যদি আমার অস্তিত্বের সারূপ্য আমার স্মৃতিদ্বারা প্রমাণ করিতে হয়, তবে আমার যে সকল অবস্থা আমি ভুলিয়া গিয়াছি, সেই সকল অবস্থায় আমি ছিলাম না, বলিতে হয়। আর আমরা জানি, অনেক লোক, বিশেষ বিশেষ অবস্থায় সমুদয় অতীত অবস্থা একেবারে বিস্তৃত হইয়া যায়। অনেক উন্মাদরোগগ্রস্ত ব্যক্তিকে আপনাদিগকে কাচনিৰ্ম্মিত অথবা কোন পশু বলিয়া ভাবিতে দেখা যায়। যদি স্মৃতির উপর সেই ব্যক্তির অস্তিত্ব নির্ভর করে, তাহা হইলে সে অবশ্য কাচ অথবা পশুবিশেষ হইয়া গিয়াছে বলিতে হইবে ; কিন্তু বাস্তবিক যখন তাহা হয় নাই, তখন আমরা এই অহংসাৰূপ্য, স্মৃতিবিষয়ক অকিঞ্চিৎকর যুক্তির উপর স্থাপিত করিতে পারি না । তবে কি দাড়াইল ? দাড়াইল এই যে, সীমা বন্ধ অথচ সম্পূর্ণ ও নিত্য অহংএর সারূপ্য আমরা গুণসমূহ হইতে পৃথকভাবে স্থাপন করিতে পারি না। আমরা এমন কোন সঙ্কীর্ণ সীমাবদ্ধ অস্তিত্ব স্থাপন করিতে পারি না, যাহার পশ্চাতে গুণগুলি লাগিয়া রহিয়াছে । অপর পক্ষে প্রাচীন বৌদ্ধদের এই মত দৃঢ়তর বলিয়া বোধ হয় যে, গুণসমূহের পশ্চাতে অবস্থিত কোন বস্তুর সম্বন্ধে আমরা কিছু 83్చడి v<