পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । যে আশা পোষণ করিলেন, এক মুহূর্তে তাছা উড়িয়া গেল, তবে কি ঐ সকল আশাকে সত্য বলিব ? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হইবে। কালে কখন প্রাণের এই আকাঙ্ক্ষার, হৃদয়ের এই গভীর প্রশ্নের শক্তি হ্রাস হইবে না,বরং যতই কালস্রোত চলিবে, ততই উহার শক্তি বৃদ্ধি হইবে, ততই উহা হৃদয়ের উপর গভীর বেগে আঘাত করিবে। মামুষের মুখী হইবার ইচ্ছ। আপনাকে সুখী করিবার জন্ত মানুষ সর্বত্রই ধাবমান হয়-ইঞ্জিয়ের পশ্চাৎ পশ্চাৎ দোঁড়িয় থাকে—উন্মত্তের ভায় বহির্জগতে কাৰ্য্য করিয়া যায়! যে যুৱাপুরুষ জীবন-সংগ্রামে কৃতকার্য হইয়াছেন, তাহাকে যদি জিজ্ঞাসা কর, তিনি বলিবেন, এই জগৎ সত্য—তাহার সমস্তই সত্য বলিয়া প্রতীত হয়। হয়ত সেই ৰ্যক্তিই, যখন বৃদ্ধাবস্থা প্রাপ্ত হইবেন, যখন সৌভাগ্যলক্ষ্মী তাহাকে পুনঃ পুনঃ বঞ্চনা করিতে থাকিবেন— সেই ব্যক্তিই হয়ত জিজ্ঞাসিত হইলে বলিবেন, সবই অদৃষ্ট । তিনি এতদিনে দেখিতে পাইলেন—বাসনার পূরণ হয় না। তিনি যেখানেই যান, তথায়ই যেন এক বজ্ৰদূঢ় প্রাচীর দেখিতে পান ; তাহ অতিক্ৰম করিয়া যাইবার তাহার সাধ্য নাই। ইঞ্জিয় চাঞ্চল্য মাত্রেরই প্রতিক্রিয়া হইয় থাকে। মুখ দুঃখ উভয়ই ক্ষণস্থায়ী। বিলাস, বিভব, শক্তি, দারিদ্র্য, এমন কি, জীবন পর্যন্ত ক্ষণস্থায়ী। এই প্রশ্নের দুইটা উত্তর আছে। একট-শূন্তবাদীদের মত বিশ্বাস কর যে, সবই শূন্ত, আমরা কিছুই জানিতে পারি না, আমরা ভূত, ভবিষ্কৃৎ বা বর্তমানসম্বন্ধেও কিছু জানিতে পারি না। কারণ, যে ব্যক্তি ভূত ভবিষ্যৎ অস্বীকার করিয়া কেবল বর্তমানের অস্তিত্ব স্বীকার করিয়া উহাতে দৃষ্ট আবদ্ধ রাখিতে চাহে, . 89: . - -