পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । । একটা তত্ত্বও পাইয়া থাকি। আশ্চর্যের বিষয়—সকল ধৰ্ম্মই সক্ষ স্বরে ঘোষণা করেন, মানুষ প্রথমে পবিত্র ও মিষ্পাপ ছিলেন, এক্ষণে তিনি অবনত হইয়া পড়িয়াছেন-এ ভাব র্তাহার রূপকের ভাষায়, কিম্বা দর্শনের সুস্পষ্ট ভাষায়, অথবা মুনীর কবিত্বের ভাখায় আবৃত করিয়া প্রকাশ করুন না কেন, তাহারা সকলেই কিন্তু ঐ এক তত্ত্ব ঘোষণা করিয়া থাকেন। সকল শাস্ত্র এবং সকল পুরাণ হইতেই এই এক তত্ত্ব পাওয়া যায় যে, মামুখ পূৰ্ব্বে বাহ ছিলেন, এক্ষণে তাহা হইতে অবতভাবাপন্ন হইয়া পড়িয়াছেন। য়াহুদীদের শাস্ত্র বাইবেলের পুরাতন ভাগে আদমের পতনের যে গল্প আছে, তাহার মধ্যে সার কথা এই। হিন্দুশাস্ত্রে ইহা পুনঃপুনঃ উল্লিখিত হইয়াছে। র্তাহারা সত্যযুগ বলিয়া যে যুগের বর্ণনা করিয়াছেন, रथन भांश्य हेष्शयूङ्क हिट्टनम, बर्थन भांश्य बऊनि हेछ भन्नैौब्र রক্ষা করিতে পারিতেন, যখন লোকের মন শুদ্ধ ও দৃঢ় ছিল, তাহাতেও এই সাৰ্ব্বভৌমিক সত্যের ইঙ্গিত দেখা যায়। তাহার বলেন, তখন মৃত্যু ছিল না এবং কোনরূপ অশুভ বা দুঃখ ছিল না, আর বর্তমান যুগ সেই উন্নত অবস্থার অবনতভাব মাত্র। এই বর্ণনার সহিত আমরা সর্বত্রই জলপ্লাবনের বর্ণনা দেখিতে পাই। এই জলপ্লাবনের গল্পেই প্রমাণিত হইতেছে যে, সকল ধৰ্ম্মই বৰ্তমান জগৎ ক্রমশঃ মন্দ হইতে মনতর হইতে লাগিল। অবশেষে গুলপ্লাবলে অধিকাংশ লোকই জলমগ্ন হইল। জাবার উন্নতি আরম্ভ - ৪২