পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ শ্বরূপ } জলপ্লাবনের গল্প জানেন । ঐ একই প্রকার গল্প প্রাচীন বাবিল, মিসর, চীন এবং হিন্দুদিগের মধ্যেও প্রচলিত ছিল। হিন্দুশাস্ত্রে জলপ্লাবনের এইরূপ বর্ণনা পাওয়া যায় —মহর্বি ময় একদিন গঙ্গতীরে সন্ধ্যাবন্দনা করিতেছিলেন, এমন সময়ে একটী ক্ষুদ্র মৎস্ত আসিয়া বলিল, আপনি আমাকে আশ্রয় দিন। মহু তৎক্ষণাৎ তাহাকে সন্নিহিত একটা জলপাত্রে স্থাপন করিয়া জিজ্ঞাসিলেন, ‘তুমি কি চাও?’ মৎস্তটা বলিল, ‘এক বৃহৎ মৎস্ত আমার বিনাশাভিপ্রায়ে আমার অনুসরণ করিতেছে, আপনি আমাকে রক্ষা করুন।’ মন্থ উহাকে গৃহে লইয়া গেলেন, প্রাতঃকালে দেখেন—সে ঐ পাত্রপ্রমাণ হইয়াছে । সে বলিল, “আমি এ পাত্রে আর থাকিতে পারি না ।" মচু তখন তাহাকে এক চৌবাচ্ছায় স্থাপন করিলেন। পরদিন সে ঐ চৌবাচ্ছাপ্রমাণ হইল, আর বলিল, “আমি এখানেও থাকিতে পারিতেছি না।” তখন মকু তাহাকে নদীতে স্থাপন করিলেন। প্রাতে যখন দেখিলেন, তাহার কলেবরে নদী পূর্ণ হইয়াছে, তখন তিনি উহাকে সমুদ্রে স্থাপন করিলেন। তখন ঐ মৎস্ত বলিতে লাগিল, মগু, আমি জগতের স্বষ্টিকর্তা । আমি জলপ্লাবন দ্বারা জগৎ ধ্বংস করিব ; তোমাকে সাবধান করিবার জন্ত আমি এই মৎস্তরূপ ধারণ করিয়া আলিয়াছি। ভূমি একখানি সুবৃহৎ নৌকা মিশ্মাণ করিয়া উহাতে সৰ্ব্বপ্রকার প্রাণী, এক এক জোড়া করিয়া, রক্ষা কর এবং স্বয়ং সপরিবারে উহাতে প্রবেশ কর। সকল স্থান জলে প্লাবিত হইলে, তাহার মধ্যে তুমি আমার শৃঙ্গ দেখিতে পাইবে তাহাতে মেীক্ষণখানি বাধিৰে। তার পর, জল কমিয়া জাগিলে মোক হইতে