পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূণ । বর্তমান কালে এই এক মহা বিচার চলিতেছে যে, এই ভুক্তসমষ্টি দেহুই_কি_আয়ু, চিন্তা প্রভৃতি বলিয়া পরিচিত শক্তির বিকাশের কারণ, অথৰ চিন্তাশক্তিই দেহোৎপত্তির কারণ ? অবশ্ন জঙ্গত্তের সকল ধৰ্ম্মই বলেন, চিন্তা বলিয়া পরিচিত শক্তিই শরীরের প্রকাশক —র্তাহারা ইহার বিপরীত মতে আস্থা প্রকাশ করেন না। কিন্তু আধুনিক অনেক সম্প্রদায়ের মত,—চিন্তাশক্তি কেবল শরীর নামক যন্ত্রের বিভিন্ন অংশগুলির কোন বিশেষরূপ সন্নিবেশে উৎপন্ন। যদি এই দ্বিতীয় মতটা স্বীকার করিয়া লইয়া বলা যায়, এই আত্মা বা মন বা উহাকে যে আখ্যাই দাও না কেন, উহ এই জড়দেহরূপ যন্ত্রেরই ফলস্বরূপ, যে সকল জড়পরমাণু মস্তিষ্ক ও শরীর গঠন করি তেছে, তাহদেরই রাসায়নিক বা ভৌতিক যোগে উৎপন্ন, তাহাতে এই প্রশ্ন অমীমাংসিত রহিয়া যায়। শরীর গঠন করে কে ? কোন শক্তি এই ভৌতিক অণুগুলিকে শরীররূপে পরিণত করে? কোন শক্তি প্রকৃতিস্থ জড়বস্তুরাশি হইতে কিয়দংশ লইয়া, তোমার শরীর একরূপে, আমার শরীর আর একরূপে, গঠন করে ? এই সকল বিভিন্নত কিসে হয় ? আত্মনামক শক্তি শরীরস্থ ভৌতিক পরমাণু গুলির বিভিন্ন পরিবেশে উৎপন্ন বলিলে গাড়ীর পেছনে ঘোড়৷ জোতা’র স্তায় হয়। কিরূপে এই সন্নিবেশ উৎপন্ন হইল ? কোন শক্তি উহা করিল? যদি তুমি বল, অন্ত কোন শক্তি এই সংযোগ সাধন করিয়াছে,আর আত্ম-যাহ এক্ষণে জড়রাশিবিশেষের সহিত সংযুক্ত রূপে দৃষ্টিগোচর হইতেছে, তাছাই আবার ঐ জড় পরমাণুসকলের সৰােগের ফলস্বরূপ, তাহ হইলে কোন উত্তর হইল না। যে ক্ষ, অন্তান্ত মতকে খণ্ডন না করিয়া, সমুদয় না হউক, অধিকাংশ ঘটনা - 8A ‘.