পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানয়োগ । (Mollusc) ক্রমবিকাশমাত্র, অতএব পূৰ্ব্বোক্ত পৌরাণিক সিদ্ধান্ত সত্য হইতে পারে না । ভারতীয় পুরাণ কিন্তু উভয় মতেরই সমন্বয় করিতে সমর্থ। ভারতীয় পুরাণ মতে, সকল উন্নতিই তরঙ্গাকারে হইয় থাকে। প্রত্যেক তরঙ্গই একবার উঠিয়া আবার পড়ে, পড়িয়া আবার উঠে, আবার পড়ে, এইরূপ ক্রমাগত চলিতে থাকে। প্রত্যেক গতিই চক্রাকারে হইয়া থাকে। আধুনিক বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে দেখিলেও দেখা যাইবে, মানুষ কেবল ক্রমবিকাশে উৎপন্ন, এ প্রতিজ্ঞা সিদ্ধ হয় না। ক্রমবিকাশ বলিলেই তাহার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমসঙ্কোচ প্রক্রিয়াকেও ধরিতে হইবে। বিজ্ঞানবিংই তোমায় বলিবেন, কোন যন্ত্ৰে তুমি যে পরিমাণে শক্তি প্রয়োগ করিবে, উছ হইতে তুমি সেই পরিমাণ শক্তিই পাইতে পার। অসং (কিছু না ) হইতে সং (কিছু) কথন হইতে পারে না। যদি মানব—পূর্ণ মানব–বুদ্ধ-মানব, খ্ৰীষ্ট মানব, ক্ষুদ্র মাংসল জস্তবিশেষের ক্রমবিকাশ হয়, তবে ঐ জন্তুকেও ক্রমসঙ্কুচিত বুদ্ধ বলিতে হইবে। যদি তাহ না হয়, তবে এই মহাপুরুষগণ কোথা হইতে উৎপন্ন হইলেন ? অসৎ হইতে ত কখন সতের উদ্ভব হয় না। এইরূপে আমরা শাক্সের সহিত আধুনিক বিজ্ঞানের সমন্বয় করিতে পারি। যে শক্তি ধীরে ধীরে নানা সোপানের মধ্য দিয়া পূর্ণ মনুষ্যরূপে পরিণত হয়, তাহা কখন শূন্ত হইতে উৎপন্ন হইতে পারে না । উহা কোথাও না কোথাও বর্তমান ছিল ; আর যদি তোমরা রিশ্লেষণ করিতে গিয়া ঐরূপ ক্ষুদ্র মাংসল জন্তুবিশেষ বা জীবাণু ( Protoplasm) istrs গিয়া উহাকেই আদিকারণ স্থির করিয়া থাক, তরে ইছা নিশ্চয় যে, ঐ জীবাণুতে ঐ শক্তি কোন না কোন রূপে অবস্থিত ছিল। - . 8's ... . . . . .