পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । দিতেছিল। পরীক্ষক কঠিন কঠিন প্রশ্ন করিতেছিলেন, তাহার মধ্যে এই প্রস্থ ছিল—‘পৃথিবী_কেন পড়িয়া যায় না? তিনি মাধ্যাকর্ষণের স্ট্রি প্রভৃতি উত্তর পাইতে ইচ্ছা করিতেছিলেন। অধিকাংশ বালঞ্চলিকাই কোন উত্তর দিতে পারিল না। কেহ কেহ মাধ্যাকর্ষণ বা আর কিছু বলিয়া উত্তর দিতে লাগিল। তাহাদের মধ্যে একটা বুদ্ধিমতী বালিকা আর একটা প্রশ্ন করিয়া ঐ প্রশ্নের উত্তর দিল—“কোথায়_উহLপড়িবে ? এই প্রশ্নই যে ভুল। পৃথিবী পড়িবে কোথায় ? পৃথিবীর পক্ষে পতন বা উত্থান কিছুই নাই। অনন্ত দেশে উপর নীচু বলিয়া কিছুই নাই। উহা কেবলমাত্র আপেক্ষিকের অন্তর্গত। অনন্ত কোথায়ই বা যাইবে, কোথা হইতেই বা আসিবে ? যখন মানুষ ভূতভবিষ্যতের চিন্তা— তাহার কি হইবে, এই চিন্তা–ত্যাগ করিতে পারে, যখন সে দেহকে সীমাবদ্ধ সুতরাং উৎপত্তি-বিনাশশীল জানিয়া দেহাভিমান ত্যাগ করিতে পারে, তখনই সে এক উচ্চতর অবস্থায় উপনীত হয়। দেহও আত্মা নহেন, মনও নহেন, কারণ, উহাদের**াগ বৃদ্ধি আছে। কেবল জড় জগতের অতীত আত্মাই অনন্তকাল ধরিয়া থাকিতে পারেন। শরীর ও মন প্রতিনিয় 蕭 ইহারা পরিবর্তনশীল কতকগুলি ঘটনা-শ্রেষ্ট মামমাত্র। ইহার যেন নদীস্বরূপ, উহার প্রত্যেক জলপরমাণুই নিয়ত চঞ্চলভাবাপন্ন। তথাপি আমরা দেখিতেছি, উহা সেই একই নী। এই দেহের প্রত্যেক পরমাণুই নিতপরিণামশীল ; কোন ব্যক্তিত্ব মুহূর্ত ধরিয়াও একরূপ শরীর থাকে না। তথাপি ষ্ট্রে এক প্রকার সংস্কারবশতঃ আমরা উহাকে এক শরীর বলি હર • ,