পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ । বিবেচনা করি। মনের সম্বন্ধেও এইরূপ ; ক্ষণে মুখী, ক্ষণে দুঃখী ; ক্ষণে সবল, ক্ষণে দুৰ্ব্বল! নিয়তপরিণামশীল ঘূর্ণিবিশেষ । উহাও সুতরাং আত্মা হইতে পারে না ; আত্মা অনন্ত। পরিবর্তন কেবল সসীম বস্তুতেই সম্ভব। অনন্তের কোনরূপ পরিবর্তন হয়, ইহা অসম্ভব কথা । তাহা কখন হইতে পারে না । শরীরহিসাবে তুমি আমি একস্থান হইতে স্থানান্তরে যাইতে পারি,জগতের প্রত্যেক অণুপরমাণুই নিত্য-পরিণামশীল; কিন্তু জগৎকে সমষ্টিরূপে ধরিলে, উহাতে গতি বা পরিবর্তন অসম্ভব। গতি সৰ্ব্বত্রই আপেক্ষিক। আমি যখন এক স্থান হইতে স্থানান্তরে যাই, তাহ একটা টেবিলের অথবা অপর একটা বস্তুর সহিত তুলনায় বুঝিতে হইবে, জগতের কোন পরমাণু অপর একটা পরমাণুর সহিত তুলনায় পরিণাম প্রাপ্ত হইতে পারে, কিন্তু সমুদয় জগৎকে সমষ্টিভাবে ধরিলে কাহার সহিত তুলনায় উহা স্থান পরিবর্তন করিবে ? ঐ সমষ্টির অতিরিক্ত ত আর কিছু নাই। অতএব এই অনন্ত— একমেবাদ্বিতীয়, অপরিণামী, অচল ও পূর্ণ এবং উহাই পারর্থিক সত্তা। সুতরাং সৰ্ব্বব্যাপীর ভিতরেই সত্য আছে, সান্তের ভতর নহে। যতই আরামপ্রদ হউক না কেন, আমরা ক্ষুদ্র সান্ত। দাপরিণামী জীব, এই ধারণা প্রাচীন ভ্রমজ্ঞানমাত্র। যদি গকিকে_বলা যায়, or তাহারা ভয় ণের আর তুমি চলিছে সূৰ্ণ খের মাৱ তুমি কৰা কৰিছে, ব্লগ নাসিক খারাই তুমি শ্বাস প্রশ্বাস কাৰ্য নিৰ্বাহ ধরিতেছ। NV