পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ । জীবিত, আর যতই আমরা আমাদের জীবনকে শরীররূপ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সান্ত পদার্থে বদ্ধ করিয়া রাখি, ততই আমরা মৃত্যুর দিকে অগ্রসর হই। আমাদের জীবন যে মুহূর্তে সমুদয় জগতে ব্যাপ্ত থাকে, যে মুহূর্বে উহা অপরে ব্যাপ্ত থাকে, সেই মুহূর্তেই আমরা জীবিত, আর যে সময় আমরা এই ক্ষুদ্র জীবনে আপনাকে বদ্ধ করিয়া রাখি, সেই মুহূর্তেই মৃত্যু, এবং এই জন্তই আমাদের মৃত্যুভয় আইসে। মৃত্যুভয় তখনই জয় করা যাইতে পারে, যখন মানুষ উপলব্ধি করে যে, যতদিন এই জগতে একটী জীবনও রহিয়াছে, - ততদিন সেও জীবিত। এরূপ লোক উপলব্ধি করিয়া থাকেন, ” ‘আমি সকল বস্তুতে, সকল দেহে বর্তমান ; সকল জন্তুর মধ্যেই আমি বর্তমান। আমিই এই জগৎ, সমুদয় জগৎই আমার শরীর। যতদিন একটা পরমাণু পৰ্য্যস্ত রহিয়াছে, ততদিন আমার মৃত্যুর . সম্ভাবনা কি ? কে বলে, আমার মৃত্যু হইবে ? তখন এরূপ ব্যক্তি নির্ভর হইয়া যান, তখনই নির্ভীক অবস্থা আসিয়া উপস্থিত হয়। নিয়ত পরিণামশীল ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বস্তুর মধ্যে অবিনাশিত্ব আছে বলা বাতুলত মাত্র। এেকজন প্রাচীন ভারতীয় দার্শনিক বলিয়াছেন, আত্মা অনন্ত, সুতরাং আত্মাই আমি হইতে পারেন। অনন্তকে ভাগ করা যাইতে পারে ন—অনস্তকে থও থও করা যাইতে পারে না। এই এক অবিভক্ত সমষ্টি স্বরূপ অনন্ত আত্মা রহিiাছেন,তিনিই মানুষের যথার্থ ‘আমি, তিনিই প্রকৃত মানুষ। হুষ বলিয়া যাহা বোধ হইতেছে, তাহ কেবলমাত্র ঐ জামিকে ক্তি জগতের ভিতর প্রকাশ করিবার চেষ্টার ফলমাত্র ; আর দুষ্ঠাতে কখন ক্রমবিকাশ থাকিতে পারে যে সকল । 曾酸。 -