পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । তোমায় পুনঃ পুনঃ বলিবে, এই “অহং জ্ঞান কখন যাইবে না । লোকের এই ‘আমিত্ব কোনট, তাহা ত আমি দেখিতে পাই না। দেখিতে পাইলে সুখী হই । ছোট শিশুর গোফ নাই ; বড় হইলে তাহার গোফ দাড়ি হয়। যদি আমিত্ব শরীরগত হয়, তবে ত বালকের অামিত্ব নষ্ট হইয় গেল। যদি ‘অমিত্ব শরীরগত হয়, তবে আমার একটা চক্ষু বা হস্ত নষ্ট হইলে আমিত্বও নষ্ট হইয়া গেল। মাতালের মদ ছাড়া উচিত নয়, তাহ হইলে তাহার ‘আমিত্ব যাইবে! চোরের সাধু হওয়া উচিত নয়, তাহা হইলে সে তাহার ‘আমিত্ব হারাইবে! কাহারও তাহা হইলে এই ভয়ে নিজ নিজ অভ্যাস ত্যাগ করা উচিত নয় ! অনন্ত ব্যতীত আর ‘আমিত্ব’ কিছুতেই নাই। এই অনন্তেরই কেবল পরিণাম হয় না। আর সবই ক্রমাগত পরি হইয় গেলে, আমার আমি লোপ হইত আর্মি করে লোপ স্বতির উপর আমার অস্তিত্ব নির্ভর করে,তাই হইলে ঐ দুই ক্তি বৎসর আমার অস্তিত্ব ছিল না বলিতে হইবে। তাহ হইবে আমার জীবনের যে অংশ আমার স্মরণ নাই, সেই সময়ে আমি জীবিত ছিলাম না বলিতে হইবে । ইহা অবশু ‘অমিত্ব সম্বন্ধী খুব সঙ্কীর্ণ ধারণা। আমরা এখনও "আমি নহি! আঞ্জ, এই ‘আমিত্ব লাভের জন্ত চেষ্টা করিতেটুি-উহ অনঙ্গ উ