পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ। আর এক প্রশ্ন—ইহা কি কাৰ্য্যে পরিণত করা সম্ভব ? বৰ্ত্তমান সমাজে ইহা কি কার্য্যে পরিণত করা যাইতে পারে ? তাহার উত্তর এই, সত্য—প্রাচীন বা আধুনিক কোন সমাজকে সন্মান প্রদর্শন করে না। সমাজকেই সত্যের প্রতি সন্মান প্রদর্শন করিতে হইবে , নতুবা সমাজ ধ্বংস হউক, কিছু ক্ষতি নাই। সত্যই সকল প্রাণী এবং সকল সমাজের মূল ভিত্তিস্বরূপ ; সুতরাং সত্য কখন সমাজের মত আপনাকে গঠিত করিবে না। যদি নিঃস্বার্থপরতার দ্যায় মহৎ সত্য সমাজে কার্য্যে পরিণত না করা যায়, তবে বরং সমাজ ত্যাগ করিয়া বনে গিয়া বাস কর। তাহ হইলেই সাহসীর মত কাৰ্য্য করিলে। সুইস দুই প্রকারের আছে –এক প্রকারের সাহস—কামানের মুখে যাওয়া। ইহা_যদি প্রকৃত সাহস_হয়, চাহা হইলে ত ব্যাঘ্রগণ্ড-মহা-হইতে শ্রেষ্ঠ_হইয়া-পড়ে। কিন্তু, Fর_ত্রক রকমের সাহ_আছে তুহাকে_প্রান্ত্রিক সাহস বলা ইতে পারে। একজন দিগ্বিজয়ী সম্রাট একবার ভারতবর্ষে মাগমন করেন। তাহার গুরু তাহাকে ভারতীয় সাধুদের সহিত Iাক্ষাৎ করিতে বলিয়া দিয়াছিলেন। অনেক অনুসন্ধানের পর তিনি দেখিলেন, এক বৃদ্ধ সাধু এক প্রস্তরখণ্ডের উপর উপবিষ্ট - । সম্রাটু তাহার সহিত কিছুক্ষণ কথাবাৰ্ত্ত কহিয়৷ , জুই সন্তুষ্ট হইলেন। সুতরাং তিনি ঐ সাধুকে সঙ্গে করিয়া নিজ । শে লইয়া বাইতে চাছিলেন। সাধু তাহাতে অস্বীকৃত হইলেন । ললেন—“আমি এই বনে বেশ আনন্দে আছি।” সম্রাটু বলিলেন; -“আমি সমুদয় পৃথিবীর সম্রাট। আমি আপনাকে অসীম, খর্ব ও উচ্চ পদমৰ্যাদা প্রদান করিব।” সাধু বলিলেন—“ঐশ্বৰ, . \9נ