পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জানযোগ । সমুদ্রে গতি উৎপন্ন হয়। আর এই প্রাণের যেমন গতি হইতে থাকে, তেমনই এই আকাশ-সমুদ্র হইতে নানা ব্ৰহ্মাও, নানা জগৎ, কত স্বৰ্য্য, কত চন্দ্র, কত তারা, পৃথিবী, মানুষ, জন্তু, উদ্ভিদ এবং নানাশক্তি উৎপন্ন হইতে থাকে। অতএব হিন্দুদের মতে সৰ্ব্ব প্রকার শক্তি প্রাণের এবং সৰ্ব্বপ্রকার ভূত আকাশের বিভিন্নরূপমাত্র। কল্পান্তে সমুদয় কঠিন পদার্থ দ্রব হইয়া যাইবে, তখন সেই তরল পদার্থটা বাপীয় জাকারে পরিণত হইবে। তাহ আবার তেজোরূপ ধারণ করিকে। অবশেষে সমুদয় যাহা হইতে উৎপন্ন হইয়াছিল, সেই আকাশে লয় হইবে। আর আকর্ষণ, বিকর্ষণ, গতি প্রভৃতি সমুদয় শক্তি ধীরে ধীরে মূল গ্রাণে পরিণত হইবে। তার পর যত দিন না পুনরায় করারম্ভ হয়, ততদিন এই প্রাণ যেন নিক্রিত অবস্থায় থাকিৰে। কল্পারম্ভ হইলে আবার জাগ্রত ইয়া নানাবিধ রূপ প্রকাশ করিবে, আবার কন্নাবসানে সমুদয়ই লয় হইবে। এইরূপে আসিতেছে, যাইতেছে,—একবার পশ্চাতে, আবার সন্মুখদিকে যেন জুলিতেছে। আধুনিক বিজ্ঞানের ভাষায় বলিতে গেলে বলিতে হয়, একবার স্থিতিশীল, আবার গতিশীল হইতেছে ; একবার প্রন্থগু, আর একবার ক্রিাশীল হইতেছে। এইরূপ অনন্ত কাল ধরিয়া চলিয়াছে। - । ఫ్ట কিন্তু এই বিশ্লেষণও আংশিক হইল। আধুনিক পদার্থ বিজ্ঞানও এই পর্যন্ত জানিয়াছেন। ইহার উপরে ভৌতিক বিজ্ঞানের অনুসন্ধান আর বাইতে পায়ে না। কিন্তু এই জয়সন্ধানের এখানেই শেষ ইন্ধ বাঙ্গ না। আমরা এখনও এমন । áూ |