পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

—আর মাহুৰ কোন না কোন কালে যে কোন দেবতা উপাসনা নছেন; তিনিই দেব, অস্থর, মানুষ, পশু, উদ্ভিদ প্রস্তর প্রভৃতির স্বষ্টিকৰ্ত্ত, আর তখন মানুষের প্রকৃত স্বরূপ তাহার নিকট এই জগৎ হইতে শ্রেষ্ঠতা, স্বৰ্গ হইতে শ্রেষ্ঠতর এবং সৰ্ব্বব্যাপী আকাশ হইতে অধিক সৰ্ব্বব্যাপিরূপে প্রকাশ পায়। তখনই মাস্থ্য নির্ভর হইয়া যায়ু তখনই মানুষ, মুক্ত হইয়া যায়। তখন }র ভ্রান্তি চলিয়া যায়, সব দুঃখ দূর হইয়া যায়, সব ভয় একেবারে চিরকালের জন্য শেষ হইয়া যায়। তখন জন্ম কোথায় চলিয়া বা তার সঙ্গে মৃত্যুও চলিয়া शांब्र; कूःथ कणिब्र यांग्न, उॉब्र সঙ্গে স্থখও চলিয়া যায়। পৃথিবী উড়িয়া যায়, তার সঙ্গে স্বর্গও উড়িয়া যায় ; শরীর চলিয়া যায়, তার সঙ্গে মনও চলিয়া যায়। সেই ব্যক্তির পক্ষে সমুদয় জগৎই যেন অব্যক্ত ভাব ধারণ করে। এই যে শক্তিরাশির নিয়ত সংগ্রাম-নিয়ত সংঘর্ষ, ইহা একেবারে স্থগিত হইয়া যায়, আর যাহা শক্তি ও ভূতরূপে, প্রকৃতির বিভিন্ন চেষ্টারূপে প্রকাশ পাইতেছিল, যাহা স্বয়ং প্রকৃতিরূপে প্রকাশ পাইতেছিল, যাহা স্বর্গ, পৃথিবী, উদ্ভিদ, পশু, মানুষ, দেবতা প্রভৃতিরূপে প্রকাশ পাইতেছিল, সেই সমুদয় এক অনন্ত, অচ্ছেদ্য, অপরিণামী সত্তাক্ষপে পরিণত হইয়া যায় ; আর জ্ঞানী পুরুষ দেখিতে পান, তিনি সেই সত্তার সহিত অভেদ। “যেমন আকাশে নানারণের মেঘ আসি । খানিক ক্ষণ খেলা করিয়া পরে অন্তৰ্হিত হইয়া বায়, সেইরূপ এই আত্মার সম্মুখে পৃথিবী, স্বৰ্গ, চন্দ্রলোক, দেবতা, মুখস্থঃখ প্রভৃতি , ఏe