পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জ্ঞানযোগ । কখন অস্তিত্বই ছিল না ; এইরূপ সে ক্রমাগত তর্ক করিয়া যাইতে পারে,কিন্তু তাহার প্রতি তোমার মনের ভাব এইরূপ হইবে যে, সে ব্যক্তি বাতুলালয়ের উপযুক্ত। এইরূপ যিনি ধৰ্ম্মের প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিয়াছেন, তিনি বলেন, “জগতে ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে যে সকল কথা শুনা যায়, সে সকল কেবল বালকের কথামাত্র। প্রত্যক্ষাকুভূতিই ধৰ্ম্মের সার-কথা • ধৰ্ম্ম উপলব্ধি করা যাইতে পারে। প্রশ্ন এই, তুমি কি উহার অধিকারী হইয়াছ ? তোমার কি ধৰ্ম্মের আবশ্বকতা আছে ? যদি তুমি ঠিক ঠিক চেষ্টা কর, তবে তোমার প্রত্যক্ষ উপলব্ধি হইবে, তখনই তুমি প্রকৃত পক্ষে ধাৰ্ম্মিক হইবে। যতদিন না তোমার এই উপলব্ধি হইতেছে, ততদিন তোমাতে এবং নাস্তিকে কোন প্রভেদ নাই। নাস্তিকের তবু অকপট, কিন্তু যে বলে, “আমি ধৰ্ম্ম বিশ্বাস করি’, অথচ কখন উঙ্গ প্রত্যক্ষ উপলব্ধি করিতে চেষ্টা করে না, সে অকপট নহে।। তার পরের প্রশ্ন এই--উপলব্ধির পরে কি হয় ? মনে কর, আমরা জগতের এই অখণ্ড ভাব ( আমরাই যে সেই একমাত্র অনন্ত পুরুষ, তাহ) উপলব্ধি করিলাম ; মনে কর, আমরা জানিতে পারিলাম,—আত্মাই একমাত্র আছেন, আর তিনিই বিভিন্ন ভাবে প্রকাশ পাইতেছেন ; এইরূপ জানিতে পারিলে, তার পর আমাদের কি হয় ? তাহা হইলে, আমরা কি নিশ্চেষ্ট হইয়া এক কোণে বসিয়া মরিয়া যাইব ? জগতে ইহা দ্বারা কি উপকার হইবে ? সেই প্রাচীন প্রশ্ন আবার ঘুরিয়া ফিরিয়া! প্রথমতঃ, উহা দ্বার জগতের উপকার হইবে কেন ? ইহার কি কোন যুক্তি আছে ? লোকের এই প্রশ্ন করিবার কি অধিকার আছে, ইহাতে জগতের কি:উপকার సెb* ;: