পাতা:জ্ঞানযোগ - চতুর্থ সংস্করণ.pdf/৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মানুষের যথার্থ স্বরূপ । মহাকল্যাণকর। এরূপ ব্যক্তি দ্বারা কোন অসৎ কৰ্ম্ম কি সম্ভব ? তোমাদের স্মরণ রাখা উচিত, ‘প্রত্যক্ষানুভূতি, এবং শুধু মুখে বলা’র ভিতর বিস্তর প্রভেদ । অজ্ঞান ব্যক্তিও নানা জ্ঞানের কথা কহিয়া থাকে । তোতা পার্থীও এইরূপ বকিয়া থাকে । মুখে বলা এক, উপলব্ধি আর এক H দর্শন, মতামত, বিচার, শাস্ত্র, মন্দির, সম্প্রদায় প্রভৃতি কিছু মন্দ নয়, কিন্তু এই প্রত্যক্ষমুভূতি হইলে ওসব আর থাকে না । মানচিত্র অবশু উপকারী কিন্তু মানচিত্রে অঙ্কিত দেশ স্বয়ং প্রত্যক্ষ করিয়া আসিয়া, তার পর আবার সেই মানচিত্রের দিকে দৃষ্টিপাত কর, তখন তুমি কত প্রভেদ দেখিতে পাইবে । সুতরাং যাহারা সত্য উপলব্ধি করিয়াছে, তাহাদিগকে আর উহা বুঝিবার জন্ত ন্যায়যুক্তি তর্কবিতর্ক প্রভৃতির আশ্রয় লইতে হয় না। তাহাদের পক্ষে উহ। তাহদের অন্তরাত্মার মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে প্রবিষ্ট হইয়াছে— প্রত্যক্ষেরও প্রত্যক্ষ হইয়াছে । বেদাস্তবাদীদের ভাষায় বলিতে গেলে বলিতে হয়, উহা যেন তাহার করামলকবৎ হইয়াছে। প্রত্যক্ষ উপলব্ধিকারীরা অসঙ্কুচিতচিত্তে বলিতে পারেন, এই যে, আত্মা রহিয়াছেন " তুমি তাহদের সহিত যতই তর্ক কল্পনা কেন, তাহারা তোমার কথায় হাসিবেন মাত্র, তাহার উছ আবোল তাবোল বাক্য বলিয়া মনে করবেন। শিশু বা তা বলুক না কেন, তাহারা তাহাতে কোন কথা কহেন না। তাহারা সত্য উপলব্ধি করিয়া “ভরপুর হইয়া আছেন। মনে তোমারপ্টিষ্টট আসিয়া এই তর্ক করিতে লাগিল যে, ঐ দেশের . ՏԳ