তৃতীয় প্রসঙ্গ পিতার আদেশ পল সাইন নদীতীরবর্তী পথ ধরিয়া চেয়ারিংক্রশ অভিমুখে চলিতে লাগিল ; সে তীক্ষ দৃষ্টিতে চারি দিকে চাহিতেছিল ; সাফল্য-গৰ্ব্বের হাসি তাহার মুখে ফুটিয়া উঠিয়াছিল । মঃ ব্লেকের ন্যায় মহাশক্রর শেনদৃষ্টিকে প্রতারিত করিবার উদ্দেশ্রে (in order to deceive the eagle-eye of his deadly enemy.) Gi goবেশ ধরণের সময় কয়েকটি সঙ্গজ প্রক্রিয়ায় স্বাভাবিক চেহারার কিছু কিছু পরিবর্তন করিয়াছিল । সে গালের ভিতর রবারের পুটুলি (rubber pads) পুরঃ দয়াছিল, এবং একপাট বৃহদাকার কৃত্রিম দন্ত ও ব্যবহার করিয়াছিল। সে দক্ষিণ দিকের চুয়ালের উপর চব্বিদ্বারা একটি লাল এচুলি নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিল । সুতরাং তাছাকে দেখিয়া মিঃ ব্লেকের মনে যে সন্দেহের উদ্রেক হইয়াছিল, তাহা হঠাৎ দূর হইল না ; সে আসল কি জাল সাইনস তাঙ্ক তিনি স্থির কবিতে পারিলেন না । সাইনস ট্রাফালগার স্কোয়ারে উপস্থিত হইবার পূৰ্ব্বে দুইজন লোক পর পর তাঙ্গার গতিরোধ করিল,এবং কাগজ দেখাইয়া বলিল,“তুমি কি পল সাইনস ”— সে দুইবার সংবাদ-পত্রের নিয়োগ-চিন্তু দেখাইয়া ও প্রত্যেককে পাচ পাউণ্ডের নোট পুৰস্কার দিয়া মুক্তিলাভ করিল। অবশেষে নীল পরিচ্ছদধারী একজন পুলিশম্যান তাহার সম্মুখে আসিয়৷ গতিরোধ করিল, এবং তাহার মুখের দিকে চাহিয়া সন্দিগ্ধ স্বরে বলিল, “মহাশয় আমার ধৃষ্টত মাফ করিবেন, কিন্তু—” পল সাইনস তাহকে কথা শেষ করিতে ন! দয়া বলিল, “দেখ কনষ্টেবল, আজ সকাল হইতে পর পর ছয়বার আমাকে গ্রেপ্তার করা হইয়াছে ; কিন্তু এই দেখ আমার চাকরীর চিন্তু । ইহা দেখাইয়া প্রত্যেক বার আমি মুক্তিলাভ Wo
