পাতা:টম্‌ খুড়ো - তারিণীচরণ চক্রবর্তী.pdf/২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(১১)

ইল। পরে দিনকর অস্তাচল গমন কালে তাহারাও হিওনাম্নী নদী তীরে উপস্থিত হইল। কিন্তু ঐ নদীতে পারাপার জন্য কোন সেতু না থাকাতে নিদাঘ সময়ে সকলেই নৌকাযোগে পারাপার হইত। শীতকালে বরফরাশিতে পরিপূর্ণ থাকাতে সকলে তাহার উপর দিয়া গমনাগমন করিত। অধুনা ফাল্গুন মাস বরফরাশী একেবারে দ্রবীভৃত প্রায় হইয়াছিল, জল প্রবাহ এতাদৃশ বেগবতী যে, কোন নাবিক সহসা নৌকা লইয়া পার করিতে সাহস করিত না। তন্নিমিত্ত ইলাইজা সম্ভানকে লইয়া ক্ষণেক কাল বিশ্রাম করেন, এই প্রত্যাশায় নদীর নিকটবর্ত্তী একটী বিপণিতে গমন করিলেন। তথায় কিঞ্চিৎ কাল অবস্থিতি করণান্তর দেখিলেন ঐ ভৃত্যদ্বয় অশ্বারোহণ করত নিষ্ঠুর বণিকের সহিত অতি বেগে আসিতেছে। তাহাতে সাতিশয় শঙ্কাকুল হইয়া তথা হইতে গাত্রোত্থান পূর্ব্বক তনয়টীকে কোলে করিয়া পুনরায় সেই স্রোতবাহিনীর তীরে উপনীত হইলেন। নদী ভীষণ শব্দে প্রবাহিত হইতেছে, কি করিয়া পার হন, এই চিন্তায় অতিশয় চিন্তিত হইতেছিলেন এবং পাছে তাহারা আসিয়া ধৃত করে, এই ভয়ে এক একবার পশ্চাদ্ভাগে নেত্রপাত করিতে লাগিলেন। ক্ষণেককাল পরে দেখিলেন যে, তাহারা প্রায় নিকটবর্ত্তী হইল আর উপায় নাই, কিন্তু তাহাতে ভগ্নোৎসাহ না হইয়া সাতিশয় সাহস পূর্ব্বক সন্তানকে বলিলেন বাছ! দৃঢ় করিয়া আমার গলদেশ ধারণ কর,