পাতা:টম্‌ খুড়ো - তারিণীচরণ চক্রবর্তী.pdf/২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(১২)

এক্ষণে অনাথের নাথ দয়াময় ঈশ্বর ব্যতীত আর আমাদিগের কোন ভরসা নাই। এই বলিয়া তটিনী তট হইতে সলিলে ভাসমান বরফের উপরে লম্ফ প্রদান করিলেন, তাহাতে বরফ রাশী পদভরে জলমগ্ন না হইয়া ঘোরতর শব্দ করত পূর্ব্বমত ভাসমান রহিল। এইরূপ বারবার লস্ফ প্রদান করিয়া ভাসমান বরফের উপর দিয়া যত যাইতে লাগিলেন, ততই প্রাণপণে করুণাময় জগদীশ্বরকে ডাকিতেছিলেন, কিন্তু তাঁহার দয়ার লক্ষণ বিলক্ষণ প্রতীয়মান হইল। যে হেতুক ইলাইজা যে কয়েক খানি বরফের উপরে পদবিক্ষেপ করিয়াছিল, তাহার একখানিও জলসাৎ হয় নাই।

বণিক এতদ্রূপ অদ্ভূত ব্যাপার দর্শনে হতবুদ্ধি হইয়া ভৃত্যদ্বয়সহ নদীকুলে দণ্ডায়মান থাকিল। কিন্তু ইলাইজা ঈশ্বরানুগ্রহে নির্ব্বিঘ্নে প্রবাহের অন্য কূলে গমন করিল। এই সমস্ত বিষয় সন্দর্শন করাতে জনৈক সাধু ব্যক্তির অন্তঃকরণে করুণার সঞ্চার হওয়াতে তাহাদিগকে আশ্রয় প্রদানে বিস্তর আশ্বাস করিলে ইলাইজা সন্তানটিকে কোলে করিয়া নিরাপদে তাঁহার নিকট দাড়াইলেন। আহা! পরহিতৈষী দয়াবান্ ব্যক্তিদিগের এইরূপই কার্য্য, তাঁহারা যথাসর্ব্বস্ব পরহিতেই সমর্পণ করিয়া থাকেন। জগদীশ্বর তাহাদিগের মঙ্গল ককুন। অপিচ তাঁহারা উভয়েই দয়াশূন্য বণিকের হস্ত হইতে এরূপ ত্রাণ পাওয়াতে সাম ও আনডির মনে আহ্লাদের আর পরিসীমা রহিল না,