পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম্যাচ খেলার পর। ১৬৫ একবারে নিশ্চল হইয়া রহিল। “এক দুই তিন সেটা তেমন মন লাগিল না, কিন্তু এই “হেঁইওটা” তেমন সুবিধার নয়। এখন তাহাদের পুরাদম, ছাতেব তলায় একবারে খটাস করিয়া লাগাইয়া দিল। টমের হাঁটুতে বিষম ঠোকা লাগিল, কিন্তু নামিবার মুখে সেই যে নিমিষের তরে থমকান সেইটাই আরও বিষম মুস্কিল, সেই যে একবারে নিরাশ্রয় নিরবলম্ব ভাব, মনে হয় যেন দেহের যাবতীয় অভ্যন্তরস্থ পদার্থ ছাতের গায়ে লাগিয়া রহিল। সেই অবস্থায় টম তাহাকে নামাইয়া দিবার জন্য চীৎকার করিয়া উঠিয়াছিল আর কি, কিন্তু ঠিক এমন সময় সে কম্বলের মধ্যে আসিয়া পড়িল, এবং ইষ্টের কথা স্মরণ করিয়া আপনাকে সামলাইয়া লইল। এই ভাবে সে হাত পা না ছুড়িয়া কোনরূপ না। চেঁচাইয়া তিনবার লােফানি খাইল এবং এই মেহনতের জন্য “বাচ্ছা তুরুপ” এই মিষ্ট সম্বােধনে আপ্যায়িত হইল। | সে এবং ইষ্ট তাহাদের কর্তব্য হাসিল করিয়া দাঁড়াইয়া দেখিতে লাগিল। কোনরূপ বিপত্তি ঘটিল না, কারণ আসামীরা সব পাকা, কেহ ছটফট করিল না। কিন্তু ইহা ফ্ল্যাশনের মনঃপুত হইল না। বাস্তবিকই জুলুমে যে, সে কিনা চায় ছেলেগুলা হাত পা ছুড়ক, ছটফট করুক অথবা কম্বলের একপাশ আঁকড়িয়া ধরুক, যাতে করে । সপাটে মেঝেতে আছাড় খাইয়া পড়ে ; কেহ চোট পাইল না, ভয় পাইল না, উহাতে আর মজা কিসের। সে প্রস্তাব করিল “এস ওয়াকার একসঙ্গে দু দুজনকে লােফানি দিই। | ওয়াকার বলিল “কি নচ্ছার জুলুমে তুই ফ্লাশি ! নে আর। একজনকে উঠা, কাজেই আর একত্রে দুজনকে লােফানি দেওয়া হইল না। উহাতে বিশেষ নিগ্রহ এই যে এ অবস্থায় স্থির হইয়া সমভাবে পরস্পরের

- |

| r