পাতা:টম ব্রাউনের স্কুলজীবন - রাসবিহারী মুখোপাধ্যায়.pdf/৪৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

টম ব্রাউনের শেষ ম্যাচ খেলা। ৪৪১ তখন তাহারা দ্বীপ ছাড়িয়া তাবুতে গেল, এবং অনেক যুক্তি পরামর্শের পর আর্থারকে খেলিতে পাঠান হইল, টম যাইবার সময় তাহাকে নির্বন্ধ সহকারে এই শেষ অনুরােধ করিল যে সে যেন ধীরভাবে সােজা ব্যাটে খেলে। উইণ্টর বাকি কয়জনের মধ্যে সবচেয়ে ভাল খেলােয়ার এইরূপ অভিমতের উত্তরে টম এই মাত্র বলিল “আর্থার সবচেয়ে ধীর খেলােয়ার, যদি কোন রকমে উইকেট বাঁচিয়ে রাখতে পারে, রন যা করবার জনসনই করবে।” মাঠের চারিদিক ঘিরিয়া লােকের ড়ি এখন খুব চাপিয়া . আসিয়াছে, সেই ভিড়ের সামনে দাঁড়াইয়া মাষ্টার মহাশয় টমকে বলিলেন “আর্থারকে একাদশের মধ্যে দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি।” টম বলিল “হাঁ, তার খেলার গুণে সে যে ওদের মধ্যে স্থান পাবার যােগ্য তা আমি নিশ্চয় করে বলতে পারি না, কিন্তু তাকে আমি না নিয়ে পারলাম না। এতে তার এত উপকার হবে, আর আপনি জানেন না আমি ওরকাছে কতদুর ঋণী ; মাষ্টার মহাশয় ঈষৎ হাসিলেন। আটটা বাজিল এবং সমস্ত মাঠ উত্তেজনায় অধীর হইয়া উঠিল। আর্থার দুইটা বিষমফাড়া কাটাইয়া এক র করিল, তায়পর জনসন বল পাইল। বল করা ও খাটনি উচুদরের হইতে লাগিল, এবং জনসনের ব্যাট করা ও ততুল্য। সে এখানে দুইবন্ । ওখানে একর, এই রকম করিয়া বলটা নিজের দিকে রাখিতে লাগিল, এবং আর্থারও সুন্দররূপে তাহার পােষকতা করিতে এবং দৌড়িতে লাগিল; আর মােটে এগার রন্ করিতে বাকি, সমস্ত জনতা যেন খাস রােধ করিয়া আছে। অবশেষে আর্থার পুনরায় বল পাইল, এবং সত্য সত্যই একটা বল সামনের দিকে সজোরে মারিয়া দুই রন্ করিল, এবং টমের “বেশ খেলেছ, বেশ ফেলেছ, খােকা” বলিয়া সহ চীৎকার শুনিয়া |