পাতা:টেলিমেকস (১-৬ সর্গ).pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ・ টেলিমেকস । শঙ্কায় অত্যন্ত ব্যাকুল হইলাম। ঔদ্ধত্যবশতঃ প্রথমে আমি যে সম্যক বিবেচনা না করিয়াই এ বিষয়ে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম, তাহ তখন বুঝিতে পারিলাম। কিন্তু এৰূপ জ্ঞান আর তখন কোন কাৰ্য্যকারক হইতে পারে না । এই বিষম সঙ্কটে মেন্টরকে কিঞ্চিমাত্র ভীত বা উদ্বিগ্ন বোধ হইল না, বরং স্বভাবতঃ ষেরূপ অকুতোভয় ও প্রফুলচিত্ত সেই সময়ে তদপেক্ষাও অধিক দৃষ্ট হইলেন। তিনি আমাকে অশেষ প্রকার সাহস দিতে লাগিলেন । তদীয় বাক্য শ্রবণে আমি অনুভব করিতে লাগিলাম, যেন কোন অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তি প্রভাবে আমার অন্তঃকরণ সাহসে পরিপুর্ণ হইয়া উঠিল। তদনন্তর, তৎকালে যেৰূপে অর্ণবপোত চালিত করিলে প্রাণরক্ষা হইতে পারে, তিনি অবিচলিতচিত্তে কর্ণধারকে তদনুরূপ উপদেশ দিতে লাগিলেন। কিন্তু সে ব্যক্তি যৎপরোনাস্তি ভীত ও ব্যাকুল হইয় একবারে কার্য্যাক্ষম হইয়া উঠিয়াছে দেখিয়া আমি মেন্টরকে কহিতে লাগিলাম, হায়! কেন তোমার উপদেশ অগ্রাহ্য করিয়াছিলাম ? মনুষ্যের পক্ষে ইহা অপেক্ষা অধিক অনিষ্টকর আর কি ঘটিতে পারে যে, অদ্যপি ভূত ভবিষ্যৎ বর্তমান এই তিন কালের কোন বিষয়েই কিঞ্চিমাত্রও জ্ঞান বা অধিকার জন্মে माझे, অথচ আত্মবিবেচনায় সপূর্ণ বিশ্বাস করিয়া থাকে। যদি এবার প্রাণরক্ষা হয়,আপনি আপনাকে বিষম শত্র বোধ করিব, কেবল তোমাকে এক মাত্র মিত্র স্থির করিয়া আর কখনই তোমার বাক্য अक्रश्ञ्जन कब्लिन् न ।