—দুধের সাগর “ভাই, জন্মের মত বুড়ীদের পেটে রহিলাম। আর মাদিগে দেখিব না, আর বাবাকে দেখিব না।” এমন সময় কাহারা আসিয়া আস্তে আস্তে ডাকিল,- “দাদা । দাদা ?” রাজপুত্রেরা চুপি-চুপি উত্তর করিল,—“কে ভাই, কে ভাই ? আমরা যে বুড়ীর পেটে!” বাহির হইতে উত্তর হইল,-“আমার লেজ ধর” ; “আমার পুচ্ছ ধর ।” রাজপুত্রেরা লেজ ধরিয়া, পুচ্ছ ধরিয়া, বুড়ীদের নাকের ছিদ্র দিয়া বাহির হইয়া আসিল । আসিয়া দেখে, বুদ্ধ, আর ভূতুম! বুদ্ধ, বলিল,-“চুপ, চুপ! শীগগীির তরোয়াল দিয়া বুড়ীদের গলা কাটিয়া ফেলি।” রাজপুত্রেরা তাহাই করিলেন । রাজপুত্র, মাল্লা-মাঝি সকলে বাহির হইয়া আসিল । আসিয়া, সকলে তাড়াতাড়ি গিয়া ময়ুরপঙ্খীতে পাল তুলিয়া দিল । বুদ্ধ, আর ভূতুমুকে কেহ জিজ্ঞাসাও করিল না। ( SY ) ময়ুরপঙ্খী সারারাত চুটিয়া চুটিয়া ভোরে রাঙ্গা নদীর জলে গিয়া পড়িল। রাঙ্গা নদীর চারিদিকে কুল নাই, কিনারা নাই, কেবল রাঙ্গা জল। মাঝির দিক হারাইল ; পাঁচ ময়ুরপঙ্খী ঘুরিতে-ঘুরিতে সমুদ্রে গিয়া পড়িলস্বাঙ্গপুল, *মাল্লা-মাঝি সকলে হাহাকার করিয়া উঠিল। ** ** 88
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/৩৬
অবয়ব