এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
ডাকঘর
আমি ওকে বলুম ভিক্ষা করতে গিয়ে তুমি যে কত বেড়াতে পাও, সবাইত সে পায় না।
ঠাকুর্দ্দা
বাবা, ঘরে বসে থাকলেই বা এত কিসের দুঃখ!
অমল
না, না, দুঃখ নেই। প্রথমে যখন আমাকে ঘরের মধ্যে বসিয়ে রেখে দিয়েছিল আমার মনে হয়েছিল যেন দিন ফুরচ্ছে না, আমাদের রাজার ডাকঘর দেখে অবধি এখন আমার রোজই ভাল লাগে—এই ঘরের মধ্যে বসে বসেই ভাল লাগে—একদিন আমার চিঠি এসে পৌছবে সে কথা মনে করলেই আমি খুব খুসি হয়ে চুপ করে বসে থাকতে পারি। কিন্তু রাজার চিঠিতে কী যে লেখা থাকবে তাত আমি জানিনে।
ঠাকুর্দ্দা
তা নাই জানলে। তোমার নামটিত লেখা থাকবে— তাহলেই হল।
(মাধবের প্রবেশ)
মাধব
তোমরা দুজনে মিলে এ কী ফ্যাসাদ্ বাধিয়ে বসে আছ বল দেখি!
ঠাকুর্দ্দা
কেন হয়েছে কি?
মাধব
শুনচি, তোমরা নাকি রটিয়েছ রাজা তোমাদেরই চিঠি লিখবেন বলে ডাকঘর বসিয়েছেন!