পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ンbr8 তত্ত্ববোধিনী পত্রিক ৮ কলপ , ১ জfগ সেই রক্তদু সপের যে কারণ ; কিম্বা শুক্তিতে এক্ষণে সেই সকল বিষয়ের বিবরণ করা যাইতেছে । পূর্বে নিত্যানিত্য বস্তু বিবেক স্থলে সে রজত জ্ঞান হয়, সেই শুক্তি রজতের যে কারণ ; তাছাকে বিবৰ্ত্ত উপাদান কারণ কঙ্কা যায় ; যথা “ সস্তত্ত্বতেই ন্যথা প্রথা বিকার ইত্যুদাহৃত: ; অন্তত্ব;তাইন্যথা প্রথা বিবৰ্ত্ত ইতুrদৗরিতঃ " যে বস্তু স্বৰূপের অন্যথা ভাব প্রাপ্ত হইয়। যে কার্য্যের কারণ হয়, সে বস্তু সেক্ট কর্য্যের পরিণfম উপাদান কারণ । ও দধির কারণ হয় । আর যে বস্তু স্বৰূপের অনাথ তাব প্রাপ্ত না হইয়া, যে কার্যের কারণ হয়, সে বস্তু সেই কার্য্যের বিবৰ্ত্ত উ*}}. দান কারণ । যেমন রজ ও শুক্তি, ইংরা সপ ও রজত জ্ঞানের কারণ ! অধ্যারোপ বিবরণ প্রকাশ করিতেছি। উক্ত ৰূপ বিবৰ্ত্ত উপাদান করণের উদাহরণ স্থলে ভ্রম প্রযুক্ত এক বস্তুতে যে অন্য বস্তু জ্ঞান চয়, তাহার নাম অধ্যাস, তাক কেই আরোপ ৭ অধ্যারোপ কsে । “স্মৃতিৰূপঃ পরব্র পুর্বদষ্টiব ভাসেহি ধ্যাস ইতি, বস্তুল্যবস্থারোপে{ইধ্যারোপ ইতি চ" ; এক বস্তুতে অন্য বস্তুর যে অবভাস, তাহার নাম অধ্যাস, সুতরাং ঋসতে যে অবস্তুর আরোপ, তাছাই অধ্যাশব্দের বাচ্য হয় । বৰ্ত্তমান রজজুতে আfও দ্যমান সপ ভ্রমের ন্যায নিত্য বিদ্যমান শ ষ্ট্য বস্তুতে অঙ্গদান বশত যে অসত্য বসুর অধ্যাস, তা চারই নাম অধ্যারোপ ইহা সিদ্ধ .தி র** 1 \. - বৈদন্তিক মতে 4. vg* এই প্রকার রজুতে অধ্যারোপিত সপের ন্যায় অজ্ঞান বশত সিদ্ধ সংস্কারাধীন সত্য বস্তুতে এই অসহ্য জগৎ প্রপঞ্চ অধ্যারোপিত হইয়া সত্য রূপে প্রকাশ পাইতেছে । এস্থলে সত্য বস্তুইবা কি, ও অসত্য বস্তুইবা কি এবং তাহার অধ্যারোপইবা কি প্রকারে হইল, অনাদি কথিত হইয়াছে যে নিত্য জ্ঞান অন স্ত স্বৰূপ অদ্বিতীয় পরব্রহ্মই সত্য বস্তু, আর অজ্ঞান প্রভৃতি তৃণ পর্য্যন্ত সমুদায় জড় প্রপঞ্চই অসত্য বস্তু বৈদান্তিক আচার্য্যদিগের মতে অজ্ঞান অভাব গদার্থ নহে ; সৎ বা অসৎ হইতে ভিন্ন জ্ঞানের বিরোধী, সত্ত্ব রজঃ তম যেমন মৃত্তিক,স্বর্ণ ও দুগ্ধ, ইহারা ঘট, অলঙ্কার । এই ত্রিগুণময়, ভাব রূপ পদার্থ বিশেষের নাম অজ্ঞান | এই অজ্ঞান একটী অভিপ্রায় করিয়া বলিলে এক, ও বহু অভিপ্রায় করিয়া বলিলে অনেক ও হইয়া থাকে । যেমন এক স্থানস্থিত নানা জাতীয় সমুদায় বৃক্ষকে এক কথtয় বলিবার জন্য বন শব্দ ব্যবহার করা যায়, অথবা একাধারন্থ-সমুদ্রয় কে এক কথায় বলিবার জন্য জলাশয় শব্দে নির্দেশকরা যায়, সেই ৰূপ বৈদান্তিক আচার্যের’, নানা জীবে বিভিন্ন প্রকারে বিরাজমান, সমস্ত ব্রহ্মাণ্ডব্যাপী, এই অজ্ঞানকে যখন একটা অভিপ্রায়ে এক বলিয়া ব্যবহার করেন , তখন এই একমাত্র অভিপ্রেত বিশুদ্ধ সত্ত্ব প্রধান যে অজ্ঞান, ব্রহ্ম চৈতন্য সেই অজ্ঞা নাবরণে অরত হইয়া সৰ্বজ্ঞ, সম্বেশ্বর, সৰ্ব নিয়ন্তা, অস্থর্যামী, জগৎ কারণ, ও ঈশ্বর, ইত্যাদি শব্দে ব্যবহৃত হয়েন ; এবং এই একাভিপ্রেত অজ্ঞানাবরণ, তখিল কারণ, কারণ শরীর, আনন্দময় কোস, সুযুপ্তি স্থান, ও সমুদায় প্রপঞ্চের লয় স্থান শব্দে কথিত হইয়া থাকে। ঈশ্বর এই অজ্ঞানে অধ্যা রোপিত মাত্র, কিন্তু তিনি ইচার বশীভূত নহেন । আর যেমন বনের প্রত্যেক বৃক্ষকে পৃথকৃ পৃথক করিয়া বুঝাইবার জন্য তাহার প্রত্যেকটকে বৃক্ষ শব্দে ব্যবহার করা যায়, কিম্বা জলাশয়ের প্রত্যেক বিন্দু জলকে পৃথক পৃথক করিয়া বুঝাইবার জন্য তাহার