পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

یہ ۔ ڈ তত্ত্বৰোধিনী পত্রিকা · }} कछ,'१काँ*. দিলেন। এস্থলে উভয়ের স্বার্ষে একটা ঘোর- ইহা কোন অনুরোধে আমার সর্বস্বতর সঙ্গী উপস্থিত হইল । হরিশ্চত্রের স্বার্থ দামের কথা শিষ্টাচার-প্রণোদিত এইরূপ পরার্থে বিলীন ইয়া গেল এবং হরিশ্চন্দ্রের এই অটল ধৰ্ম্মনিষ্ঠার স্তুতিগীত এই ভারতবসের আবাল বৃদ্ধের মুখে গীত হইতে লাগিল । ফলত তাঁহাই ধৰ্ম্ম মহা আপনার স্বাধকে গৌণ এবং অন্যের স্থার্থকে মুখ্য করে, তাহাই সত্যনিষ্ঠ সামান্য পরিহাস বাক্যেও যাহার স্বলন হয় না। o অনেকে কহিয়া থাকেন হিন্দুজাতির উচ্চ ধৰ্ম্মজ্ঞান ছিল না । বায়ণের দণ্ড নাই, স্থ লবিশেষে মিথ্য প্র:েণ দে যাবহ নহে, ইত্যাদি ক একটা স্পষ্ট নৈতিক ব্যভিচার ব্যবহার শাস্ত্রে দৃষ্ট হয় সত্য কিন্তু ইহা দ্বারা হিন্দুজমির যে উচ্চ ধৰ্ম্মজ্ঞান ছিল না একথা ৫।মণ হয় না। কোন একটু জানিকে বুঝিতে হইলে কেবল তাহার ব্যবহার শাস্ব দেখিলেই তাহাকে সম্যক বুঝা যায় না। কারণ ব্যবহার শাস্ত্র যেমন ধৰ্ম্ম ও নীতিকে দেখেন তেমনি {{ধার সমাজ ও জাতিকে দেখিয়! থাকেন। ব্রহ্মণের। এথ{লকার সৰ্ব্বেসৰ্ব্ব ছিলেন । তাছারাই নিয়ন্ত, রাজা র্তাহীদেরই ছিল, ক্ষত্রিয়ের যন্ত্র গুণিত পুণ্ডলীর ন্যায় ইহাদের ক্রীড়নক যাত্র ছিলেন । এইরূপ ক্ষেত্রে দুর্নীতি ধে কতকট প্রশ্ৰয় পাইবে তাহ! সম্ভব । ইহার পক্ষপাত-দূষিত চিন্তে বাহ্মণদিগকে ও সামাজিক ঘটনা বিশেষকে দেখিতেন, সুতরাং ব্যবহার শাস্ত্র হিন্দুর প্রাণকে লুপ্তাইতে পারে না । যদি ইহা বুঝিতে চাও হিন্দুজাতির চরিতস্বাক্ষী পুত্রণ শাস্ত্র দেখ । সুরাণে এমন শত সহস্র ঘটনা আছে যাহা আলোচনা করিলে বুঝা যাইবে যে হিন্দুজাতির অপেক্ষ। উচ্চ ধৰ্ম্মজ্ঞান পৃথিবীতে অন্য কোন জাতির ছিল কি ন সন্দেহ । এই হরিশ্চন্দেরই বিষয় আলোচনা কর। ইনি সে যথাসৰ্ব্বস্ব পরিত্যাগ করিলেন | | { বলিলে পাছে বিশ্বামিত্র তাহা না গুলেন; পাছে শিষ্টাচার কি পরিহাসচ্ছলেও একটা কথা বলিয় তাহার অন্যথায় দুরদৃষ্ট জন্মে এই আশঙ্কায় যথাসৰ্ব্বস্ব দান কি উচ্চ ধৰ্ম্ম-বুদ্ধির অনুরোধ নয়? কিন্তু যদি এই হরিশ্চন্দ্র শিষ্ট্রাচারের উল্লেখমাত্র করিয়া স্ববাক্যের প্রতাহার করিতেন তাহাতে কি আমরা তাহাকে অপাৰ্ম্মিক বলিতাম ? স্পষ্টীক্ষরে বলিতে পারি কখনই না। যখন রাজা যুধিষ্ঠির দৃতিক্রীড়ায় আপনার যথাসৰ্ব্বস্ব পরিশেষে ভাৰ্য্যা দেীপদীকেও হারিলেন সেই সময় জুরাত্মা দুঃশাসন কেশাকর্ষণ পূৰ্ব্বক দ্রৌপদীকে রাজ-সভায় আসিল । রাজার কন্য। রাজার পত্নী তাজ র্তাহার এইরূপ অবমানন। সভাস্থ সমস্ত ভদ্র লোক বিরক্ত হইয়| উঠিল । ভীমসেন রোষকৰ্কশ চক্ষে জ্যেষ্ঠের প্রতি ঘন ঘন দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। যুধিষ্ঠির একটু ইঙ্গিত করিলে তৎক্ষণাৎ সৃষ্ট্রিস্থিতিপ্রলয় হইয়া যায়। কিন্তু তিনি দৃতে পরাজিত, এমন হৃদয়বিদারক দুঃসহ ব্যাপার দেখিয়াও স্বধৰ্ম্ম রক্ষা করিতেছেন। ভ্রাতৃগণকে ধৰ্ম্মবুদ্ধি অটল রাখিবার জন্য বুঝাইতেছেন। তৎকালে দ্রৌপদীর সকরুণ দৃষ্টি ও সকাতর বাক্যে সভাস্থ সকলেরই হৃদয় ব্যথিত । যুধিষ্ঠির দূতে স্ত্রীকে হারিয়াছেন কিন্তু হারিয়াছেন বলিয়াই যে একটা কুলস্ত্রীর—যে সে নয় সতী স্বাধী পতিব্ৰতা দ্রৌপদীর মান মৰ্য্যাদ পদে দলিত করিতে হুইবে ইহা কোথাকার কথা। তৎকালে যুধিষ্ঠির যদি এই পরাভব না সহিতেন পৃথিবীতে কে উাহার ধৰ্ম্মলোপ আশঙ্কা করিত। কিন্তু তিনি প্রতীকারে সম্পূর্ণ পরামুখ। তিনি দেখিতেছেন আমি ধৰ্ম্মত পণ রাখিয়া স্ত্রীকে দূতে ছুরিয়াছি। রক্তমাংসের শরীরে যাহা সহিতে