পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

_. সাধিত হয় । দুইয়ের বিয়োগে যোঙ্ক। ঐ পুরুষই বন্ধমোক্ষের ভাগী। ঐ দ্রব্যশক্তি বা প্রকৃতির চেতনত্ব | কল্পনা বা চৈতন্য-মূলকত্ব সংস্থাপনের প্রয়োজন নাই। কেন না তাহা সৰ্ব্বশক্তি ও সৰ্ব্বগুণের আধার এবং স্বষ্টির একমাত্র মুল কারণ । এই দৃষ্টির নাম সাংখ্য দৃষ্টি। দ্বিতীয় প্রকার দৃষ্টি এই যে উহা স্বয়ংসিদ্ধ বা জড় নহে, কিন্তু ঈশ্বরের স্বষ্টিশক্তি । ঐ অনিৰ্ব্বচনীয় শক্তি সহকারে ঈশ্বর ব্রহ্মাণ্ডরচনা করেন। অত ৭ব উক্ত শক্তিতে শক্তিমানরূপে ঈশ্বলই জগৎকালণ । তাহাকে প্রকৃতি বল, অব্যক্ত বল, প্রধান বল, সৰ্ব্বপদাcর্থব অ ! বা পরমাণুরূপী বীজ বল তাহাতে তাপতি নাই। কিন্তু ইহা বলিতেই হইবে যে : ঈশ্ব নষ্ট এক্ট জগতের মল কারণ এবং তাহার স্ষ্টি-শাভাই সচকারিণী। এই দৃষ্ট্রির নাম লক্ষ-দৃষ্টি । ব্ৰহ্মদৃষ্টিতে জগৎ মায়িকাবির্ভাব মাত্র । কেনন। তাহাব দ্রব্যময় কোন সত্য উণ দান ছিল মা ! ঈশ্ববের শক্তি হইতেই দ মধু রূপ প্রকাশিত ইয়াছে । সুতরাং ব্ৰহ্মই সত্য, জগৎ মামাময় । ব্রহ্মের অশ্চির্য্য শক্তি । তদ্বারা তিনি না করিতে পারেন এমন কার্ষ্যই নাই । সে সকল দ্রব্যময় আবিভাবেব কোন দ্রব্য-বীজ ছিল না, তিনি শক্তি প্রকাশ করিলেন, আর তৎক্ষণাৎ সে সমস্ত সত্যের ন্যায় দেদীপ্যমান হইল । সুতরাং রক্ষন্দ্রই বেদান্ত বলেন যে র্তাহার সেই শক্তি মহামায়ারূপিণী । তাহাই সন্মুক্ত জগতের মায়াময উপাদান কারণ । কিন্তু জীবাত্মা সে শক্তির অতীত । তিনি ত্রহ্মের স্বরূপোৎ পন্ন। তিনি ঐ মায়ার যোগে বদ্ধ—বিয়োগে মুক্ত । ক্রমশঃ । | { | অন্যের স্বার্থের সহিত যখন নিজেল'স র্থের সঞ্জাৰ্য উপস্থিত হস তখনই ধাৰ্ম্মিকে পরীক্ষণ । দুখন রাজা হরিশচন্দ্র ঘগয়াপ্রসৈ অরণ্য পর্য্যটন করিতে ছিলেন তখন তি কোন রমণীর আর্তম্বরে একাস্ত কাতর হুষ্ট তাহাকে রক্ষা কবিবার জন্য তথায় উপস্থি হন । বিশ্বামিত্র উহার এই কার্য্যে কুপি হইয়া জিজ্ঞাসা কবিলেন তুমি কি জা আসিয়াছ । হরিশ্চন্দ্র কহিলেন তার্তক্রমাণ দান ক্ষত্রিয়ের ধৰ্ম্ম, সেই জন্য অ,সি যাহি তখন বিশ্বামিত্ৰ কহিলেন যদি তোয়ার ০ধ:ে এতই অনুরাগ তবে অামায় দান কর । হ:ি শ্চন্দ্র শিষ্ট ব্যবহার অনুসবণ পূর্বক কহিলে আমার যা কিছু আছে সমস্তই আপনার আজ্ঞা করুন আপনার কি চাই । বিশ্বামি কহিলেন রাজন। তোমাৰ ধ। কিছু ৭৫ সমস্তই যদি আযাব হইল তবে তুমি এখন আমার অধিকার হইতে বাহির হইয়া যা ও হরিশ্চন্দ্র তৎক্ষণাৎ সম্মত হইলেন । রাত্ত ঐশ্বর্ধ্য মনুষ্যের একটা স্পৃহনীয় শক্তি, ইহা বলে পার্থিব অনেক উৎকৃষ্ট্র কার্য্য সাধি । হইতে পারে, ইহার আকর্ষণ বড় প্রবল কিন্তু হরিশ্চন্দ্র শিষ্টাচার অনুসরণ করতে গিয়া যখন দেখিলেন বিশ্বামিত্র তাহার যথা সৰ্ব্বস্ব লইতে চান তখন তিনি স্বধৰ্ম্ম ও সত্যনিষ্ঠায় অনুরোধে তদ্বিষয়ে আর দিকক্তি করিলেন না । তিনি যে, শিষ্টা . দেখাইবাব জন্য ঐরুপ বলিয়া ছিলেন ইহার পক্ষে তৎকালে ইহা একটা রলিবার কথা ছিল বটে কিন্তু তিনি আর দ্বিরুক্তি করিলেন না । উাছার হৃদয়ে কি ছিল তাহা অস্তম্বামী জানিয়াছেন কিন্তু বিশ্বামিত্র তাহা বুঝিলে না, প্রভু্যত তিনি তাহার স্বধৰ্ম্মরক্ষায় ইদাস্যই বুঝিবেন । সুতরাং হরিশ্চন্দ মীরবে সমস্তই