পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (একাদশ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NR কিছুই দেখিতে পাইবে না। হা, .. তে স্বন্দর বটে। আর উইার উপর ধৈ প্রেমের জ্যোতি ও পবিত্রতার জ্যোতি এবং আনন্দের ভাব চমকিত হইতেছে তাহা আপনার পবিত্রত এবং আনন্দেতে ঐ সম্মুখের ফুলকেও পরাজয় করিয়াছে। কিন্তু ইহ সেই স্বৰ্গীয় দৃশ্যের দ্বার মাত্র । ইহা স্থল দ্রষ্টাও দেখিতে পায়। কিন্তু সেই স্বগীয় দৃশ্য এখনো অনেক দূরে রহিয়াছে। চল, ভিতরে প্রবেশ কর, এবং অন্তশ্চক্ষুর দ্বার নিরীক্ষণ কর । কহ তো এক্ষণে কি দেখিতেছ । ইহাই আধ্যাত্মিক দৃশ্য। ইহাই স্বগীয় দৃশ্য ! আহা কি মনোহর ! তুমি যে বলিতেছিলে হৃদয় মন স্থির হয় না । এখানে দেখ, এখানে দেখ, হৃদয় মন কেমন স্থির, কেমন অচল । চক্ষুর তার ফিরিতেছে না, চক্ষুর পলক পড়িতেছে না। দেখ ঐ যোগীর শরীর মৃত্তিকায় পড়িয়া রহিয়াছে কিন্তু তাহার মন সেই প্রাণারামের নিকট। দেখ আত্মা কোথায় গিয়া উপস্থিত হইয়াছে। সে চাতকের ন্যায় কেমন প্রেমের সহিত সেই তাত্মার আত্মাকে অবলোকন করিতেছে। কেমন এক সূত্রে উভয়ে আবদ্ধ। কেমন পবিত্রতা ও প্রেমের জ্যোৎস্ন। বর্ধিত হইতেছে । অন্তরে কেমন প্রেমের প্রবাহ প্রবাহিত হইতেছে । দেখ, ইহাই পবিত্র প্রেম, ইহাই পবিত্র আনন্দ । এ সকলই গুপ্ত ভাব । ইহার সমান জগতে আর কিছুই নাই। এই আধ্যাত্মিক আনন্দ কেবল আধ্যাত্মিক ঘোগের দ্বারা প্রাপ্ত হওয়৷ যায়। পৃথিবীর ধনী মানী ও রাজাধিরাজদিগের এই আনন্দ ভোগ হয় না । ইহা ঐশ্বৱিক আনন্দ । ইহা শুধু সেই ভাগ্যবান পুরুষ উপভোগ করিতে পারে যে শারীরিক সকল প্রকার ভোগ বিলাস পরিত্যাগ করিয়া কেবল এই আনন্দ উপভোগের জন্য ব্যাকুল তা স্তরে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা

    • कल, १ चोक

হয় এবং বৈরাগাবলম্বন করিয়া তাহারই অনুগ্রহে আপনার আত্মাকে উাহারই সহবাসের যোগ্য করিতে পারে,যিনি সৌন্দর্ঘ্যের সাগর ও মঙ্গলের আকর। পরলোক তত্ত্ব। ( হিন্দুশাস্ত্রমূলক । ) দ্বিতীয় অধ্যায়। মাগ-বিচার। পূর্বের অস্থৰ্বত্তি । ১৪ ইতিপূৰ্ব্বে সূক্ষ শরীর সম্বন্ধে কতিপয় সামান্য বিবরণ প্রদান করিয়াছি । সেই শরীর আশ্রয় পূর্বক মৃত্যুর পরে সোপাধিক জীব যে সমস্ত গতি লাভ করেন এক্ষণে তাহার সবিশেষ সংবাদ বিবৃত হই বেক । 熟。 হিন্দু শাস্ত্র মতে জীবগণের ধৰ্ম্ম স্বাধীন গতির পক্ষপাতী ! যিনি যেমন কৰ্ম্ম বা ! জ্ঞানোপার্জন করিয়াছেন তিনি তদনুযায়ী ফলভোগের অধিকারী। সুতরাং শাস্ত্রে কহেন এই স্বাধীনতা অব্যবস্থিত নহে, কিন্তু দৃঢ়তর রূপে কৰ্ম্মসুত্রে অনুসুত । কৰ্ম্মানুযায়ী ফলভোগের অধিকার জীবের হৃদয়েই জন্মে। ভোগার্থ এক দিকে কৰ্ম্ম অদৃষ্ট স্বরূপে জীরের ভাগ্য স্থানকে আশ্রয় করে, অন্য দিকে তৎপক্ষে সূক্ষদেহের উপযুক্ততা সম্পাদন করে । যেমনস্কৰ্ম্ম, যেমন জ্ঞান, যেমন কামনা, বা ভোগস্থানে লইয়া যায়। তৎপক্ষে সূক্ষদেহ সম্পূর্ণ উপযোগী এবং সেই উপযোগিতা সম্যক রূপে কৰ্ম্ম-নিম্পন্ন . ১৫ ফলতঃ উক্ত কৰ্ম্ম মহামায়া-স্বরু পিণী প্রকৃতিরই বিকার, তাহ পূৰ্ব্বপ্রবঙ্গে