পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (চতুর্থ কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা নছেন, সকলকেই সম দৃষ্টিতে নিরীক্ষণ করিয়া জীবিকা বিতরণ করিতেছেন । এক অরণ্য, এক পৰ্ব্বত ও এক প্রান্তর মধ্যে অসংখ্য প্রকার প্রাণী বাস করিয়া সকলেই তাহার মধ্য হইতে স্ব স্ব প্রয়োজনোপযোগী ভক্ষ্য ভোজ্য প্রাপ্ত হই তেছে, কেহ তৃণ আহার করিতেছে, কেহ পর্ণ ভোজন করিতেছে, কেহ বা ফল দ্বার উদর পূৰ্ত্তি করিতেছে, এবং কেহ শুদ্ধ মুলাবলম্বন করিয়াও জীবিত রহিয়াছে । কি আশ্চযা ; পশুর জ্ঞানহীন হইয়াও আপন দিগের পরিষ্ঠ্যঞ্জ্য আহ:র ত্যাগ পূৰ্ব্বক ভোজ্য দ্রব্য ভোজন করিয়া সুখেতে কাল হরণ করিতেছে । যে সমস্ত পশু কস্মিন কালে একস্থানে স্থিতি করে না এবং যে সকল পক্ষি নির স্তুর নাম স্থানে ভ্রমণ করে, ঈশ্বরের অজ্ঞ; প্রতিপালনার্থ তাহার কারারুদ্ধ বন্দির ন্যায় এক স্থানে স্থায়ী কহয় আপন পন শাবক ও সস্তান প্রতি পালন করে । পক্ষি শাৰক, যাবৎ ন। স্বয়ং আচার করিতে পারগ হয়, তাবৎ তাহার আস্থার প্রদান করিতে নিযুক্ত থাকে ৷ শৃগালাদি পশুগণ নিরস্তর বিবর বদ্ধ থাকিয়া, আপন সন্তান গণকে স্তন্য পান করায় । দোহন কালে গাবী, বংসের জন্য স্বীয় স্তনে দুগ্ধ সঞ্চয় করিয়া রাখে, হস্তী, করভের জন্য মুখ মধ্যে আপন ভোজ্য বিভাগ ক রিয়া রক্ষা করে, উৎকুণাদি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কীট । ቆማ প্রভৃতি কয়েকটি জন্তু দীর্ঘকাল স্থলেতে বাস করিয়াও ইচ্ছানুসারে জলমগ্ন হন্থয়। মৎস্যাদি ধারণ করিতে পারে । পানিকৌড়ি প্রভৃতি অনেক প্রকার আমি ষাশী খেচর পক্ষিকেও জগদীশ্বর নিশ্বাস রুদ্ধ করিয়া জ্ঞ লেতে মগ্ন থাকিবার শক্তি প্রদান করিয়াছেন । সংসার মধ্যে সকল ঋতুতে সকল জীবের সমান উপজীব্য উপস্থিত থাকে না, একারণ যে কালে যে জীবের সমধিক আtহঃর প্রস্তুত হয়, সেই সমস্ত জীব সেই কালেই অধিক উৎপন্ন হইয়া থাকে । গ্রীষ্ম কালে এপ্রকার মনেক জীৰ জন্মায়, যাহার। বর্ণার প্র:রম্ভে এক কালে জদুশ্য হয়, এবং বর্ষাকলে এৰূপ অনেক প্রাণী উৎপন্ন হয়, যাহারদিগকে আর শীত কালে দেখিহে পাওয়া যায় না, এবং শীত ঋতু ও বশস্ত ঋতুতেও এইৰূপ অনেক প্র কার বিশেষ বিশেষ প্রাণী প্রত্যক্ষ করাযায় । কিন্তু সৰ্ব্বত্র সকল কালে এ পৃথিবী প্রাণী পুঞ্জে পরিপূর্ণ থাকে বলিয়। দয়ার নিধান জগদীশ্বর কোন কালে তাঙ্কার অক্ষয় জনক জনৰ্মী প্রাণ পণে তাহকে উপযুক্ত যে স্থানে স্ব স্ব জাতির উপযুক্ত জীবি- । কা দেখে সেইস্থানেই ডিম্ব পরিত্যাগ করে । এবং সেই ডিম্ব হইতে যে সমস্ত কীটাদি । ংপন্ন হয়, তাহার। সেই স্থানেই আপন আস্থার প্রাপ্ত হইয়া বদ্ধিষ্ণু হইতে থাকে। ভুচর ও জলচর মধ্যে কোন কোন জীবকে পরমেশ্বর এ প্রকার আশ্চর্য শক্তি প্রদান করিয়াছেন যে তাহার প্রয়োজন মতে স্থল জল উভয়েতেই সঞ্চরণ করতে পারে । সিন্ধু ঘোটক প্রভৃতি কোন কোন জীব অধিক কাল জলবাসী হইয়াও প্রয়োজন মত স্থলেতে গমন পুकक चाशद्र क्रोछ कट्व्र 4द९ अणबाजग्नि ভাণ্ডার ধরণকে শূন্য করেন না। এ পুথিবীতে এমন স্থান নাই সেখানে কোন এক প্রকার জীবের উপজীব্য বিদ্যমান নাই এবং এমন কালও নাই যে ক’লে কোন প্রকার জীবের জীবিকা উৎপন্ন না হয় । তা হাঁর জীব প্রতিপালন বিষয়ক আশ্চৰ্য্য কেী শলের কথ! fচস্তা করিলে বিস্ময়াপন্ন হই তে হয় ৷ এক পাত্র অল্প লইয়। অসংখ্য লোককে ভোজন করাইলেও যদি তাহার কখন শেষ না হয়, তবে সে আশ্চর্য ব্যাপা, র_দৃষ্টেকে না মুগ্ধ হইবেক ? কিন্তু জগদীশ্বরের কৌশল তদশেক্ষা অধিক জ:

শ্চৰ্য্য, তিনি জীব প্রতিপালন 两动了 পুথি দী

তে প্রথমতঃ যে অন্নের সৃষ্টি করিয়াছেন, সেই অন্ন ক্রমাগত সকল জীবের জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিয়া বর্ষে বর্ষে উদ্বত্ত হইয়া আসিতেছে, কোন কালেই তাঙ্কার শেষ নাই; निम मिम ऊँीद ग९थंI। गङ कि इशे८उ८झ् অক্সের পরিমাণও সেইৰূপ অধিক হইতেছে । অতএব তাহার মহিমা কে বুৰিবে ? তিনি উষ্ণ দেশে অপৰ্যাপ্ত শীতল ফল শ