পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ჯ(t8 ভাব উদয় হয়, তাহার উদাহরণ বেদের ছন্দঃকপেই প্রাপ্ত হওয়া যায়। মনুষের স্বাভাবিক মজ্ঞানবস্থায় ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তি সকল কি প্রকারে পরিচালিত হয়,জগৎ কৌশলের আলোচনা দ্বারা কি প্রকারে মনুষ্যের মনে ঈশ্বরের ভাব অপে অপে প্ৰ তিভাত হয়, তাহা এই সময়ের ইতিহাসেই সুন্দর রূপে প্রকাশ পাইভেছে । কিন্তু বৈদিক ঋষিদিগের এই স্বাভাবিক ধৰ্ম্ম শীঘ্রই পরিবর্তিত হইয়াছিল । তাছা শীঘ্রই নানা প্রকার কপিনিক ও নিতান্ত অকিঞ্চিৎকর অনুষ্ঠান ও বাহ্যিক আড়ম্বরে পরিপূর্ণ হইয়াছিল। আমরা মন্ত্র কম্পে প্রবেশ করিব। भांखझे বৈদিক ধৰ্ম্মের এই ৰূপ কম্পিনিক ভাব দেখিতে পাই । দীঘ কাল স্থায়ী যজ্ঞ, বহুব্যয় সাধা নানা প্রকার ব্রতানুষ্ঠান,এই সকল এই মন্ত্র কম্পে প্রাদুর্ভূত হইয়াছিল এবং এই সকলের অনুষ্ঠানই প্রকৃত ধৰ্ম্ম বলিয়া পরিগণিত হইয়াছিল । ... " ঋগ্বেদ সংহিতার সহিত অপর বেদদ্বয়ের তুলনা করিলেই ছন্দ ও মন্ত্র কম্পের প্রভেদ বিশেষ ৰূপে প্রকাশ পাইবেক। সাম ও যজুৰ্ব্বেদ কেবল যজ্ঞাদি কৰ্ম্মানুষ্ঠানের निन्डिहे রচিত হইয়াছিল; ইহাদিগের প্রস্ত্যেক সুক্তের ভাব ও বিন্যাস কোন না কোন যজ্ঞানুষ্ঠানের উপযোগ দেখিতে পাওয়৷ যায় । সুতরাং বৈদিক হিন্দুদিগের মধ্যে যজ্ঞাদি অনুষ্ঠান প্রচলিত হইলে পর সাম ও যজুৰ্ব্বেদের স্বন্টি হইয়াছিল। কিন্তু ঋগ্বেদে যজ্ঞাদি বিষয়ের বিশেষ কোন প্রসঙ্গ নাই । এই হেতু তাই যজ্ঞেতে সমধিক প্রয়োস্থনোপযোগী হইত না । বাস্তবিক মন্ত্র কম্পে হিন্দুদিগের এপ্রকার ধর্মের ভাব ও অনুষ্ঠানের প্রথা পরিবৰ্ত্তিত হইয়াছিল যে ঋগ্বেদের সরল স্বাভাবিক ভাব જૂર્વ তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা স্তোত্র সকলের প্রতি তাদৃশ আস্থা ছিল না। তখন কৰ্ম্ম-কাগুই ধর্মের সার হইয়া উঠিয়া ছিল । এই সময়ে যজ্ঞ হোমাদি নাম প্রকার কাপনিক ব্যাপারের বাহুল্য হেতু তদনুষ্ঠানের নিমিত্ত পৌরোহিত্য ৰূপ একটি নুতন ব্যবসায়ের স্বষ্টি হইল। এবং এই সকল কৃত্রিম অনুষ্ঠানের বৃদ্ধির সহিত পুরোহিতদিগের পদ ও প্রভুত্ব বৃদ্ধি হইতে লাগিল । ছন্দঃকম্পে ঋষিগণ আপনাপন পরিবার লইয়াই আরাধনাদি করিতেন কিন্তু এক্ষণে পুরোহিত ব্যতীত কোন ধৰ্ম্মা নুষ্ঠানই সম্পন্ন হইতে পারিত না । সুতরাং পুরোহিতগণ অক্লেশে অপকাল মধ্যে প্রাদু ভূত হইয়া উঠিল এবং পৌরোহিত্য পদ এত অধিক মান, প্রতিপত্তি ও গ্র ভুত্বের সো. পান হইয়াছিল যে তাহার নিমিত্ত কখন কখন ভয়ানক বিবাদ উপস্থিত হইত । বিশ্বামিত্র ও বশিষ্ঠ ঋষির বৃত্তান্তই ইহার প্রমাণ স্বৰূপ রহিয়াছে । অশ্বিলায়নের মতে বৈদিক পুরোহিত চারি প্রকার ; যথা হোতা, অন্ধযু , উদ্‌ গতা, এবং ত্রহ্মা । ইহাদিগের প্রত্যেকের অধীনে আরও ভিন জন করিয়া সহকারী পুরোহিত থাকিতেন। যথা হোতার অধীনস্থ পুরোলিতদিগের নাম মৈত্রাবরুণ, আচ্ছাবাক, গ্রাবস্তুত । অস্থযুরি অধীনস্থদিগের নাম প্রতিপ্রস্থাত, নেষ্ঠা, উন্নেতা । উদ্যতার অধীনস্থদিগের নাম প্রস্তোতা, অগ্নী বা অন্নিধ ও পেত। - ব্রহ্মার অধীনস্থদিগের নাম ব্রাহ্মণাচ্ছংসী,প্রতিহওঁ, এবং সুব্রহ্মণ্য । এই ষোড়শ বিধ পুরোহিতকে ঋত্বিক কহে। ইহারা যজমান কর্তৃক নিযুক্ত হন এবং স্ব স্ব নির্দিষ্ট পদানুসারে যজ্ঞের আয়োজন অবধি সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন করেন। এতদ ব্যতীত অন্যান্য সা মান্য পুরোহিত আছে কিন্তু তাহার ঋত্বিক