পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (তৃতীয় কল্প তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

る(なや ইন্দ্র বিশ্বামিত্রের স্তবে তুষ্ট হইয়া এই ভারতবর্ষীয় লোকদিগকে রক্ষা করিতেছেন । ব্রাহ্মণের পশ্চাতে যে অসীম প্রতাপ ও প্রভুত্ব লাভ করিয়াছিলেন এবং তদ্বার। অদ্যাবধি তাহারা দুর্ভাগ্য ভারত ভূমিকে যে দুশ্চেদ দাসত্ব শৃঙ্খলে বদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন, তাহার স্বত্রপাত এই সময়েই দেখিতে পওয়া যায়। ভূপতিগণ পুরোহিত দিগকে বিস্তর সমাদর করিতেন এবং তা হাদিগকে প্রচুর ধন ধান্য গে অশ্বাদি দান করিতেন । এবং পুরোহিতেরাও এক্ষণকার ভাটদিগের ন্যায় যাহাদিগের নিকট হইতে দান প্রাপ্ত হইত, তাহারদের কীৰ্ত্তি ঘোষণা করত । ঋগ্বেদে দান সুক্ত নামে অনেক গুলি সুক্ত আছে, তাহাতে এই প্রকার দান শীল রাজাদিগের যশঃ পরিকীৰ্ত্তিত হইয়াছে। حھا 6 eeسے অভ্যাসের প্রভাব । মানসিক সমুদায় প্রবৃত্তি একটি সাধারণ নিয়মাধীন দেখিতে পাওয়া যায় । আমরা কোন প্রবৃত্তিকে যে , পরিমাণে পরিচালনা করি, তাত তৎপরিমাণে বলিষ্ঠ ও তেজস্বী হইয়া আইসে । যে কৰ্ম্ম প্রথমে সম্পন্ন করতে নিতান্ত কষ্টকর বোধ হয়, তাহ। কিছুকাল বারম্বার করলে ক্রমেই সহজ ও অপেক্ষাকৃত অপায়াস সাধ্য হইয়। অইসে । অপর ভtহাতে প্রথমে যে ক্লেশ হইত, তাহার পরিবর্তে কোন কোন স্থলে পরিশেষে বিশেষ আনন্দের উদয় হয়। এই আশ্চর্য্য মনের ধৰ্ম্ম যাহাকে আমরা অভ্যাস শব্দে উক্ত করিয়া থাকি, তাছার প্রভাব বোধ হয় সকলেই কোন না কোন কার্য্যেতে অন্ধুভব করিয়া থাকিবেন । মনুষ্যগণের মধ্যে জ্ঞান ধৰ্ম্ম বিদ্যা বুদ্ধি বিষয়ে | | তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা যে এত অধিক প্রভেদ ও তারতম্য দেখিতে পাওয়া যায়, তাহার মুল কারণ অভ্যাস । এই অভ্যাস সহকারে কত ব্যক্তি আসামান্য গুণ সম্পন্ন হইয়া সংসারের অশেষ উপকার সম্পাদন করিতেছেন ; এবং ইহারই প্রভাবে কতলোকে একেবারে অলঙ্ঘা পাপানলে পতিত হইয়া চিরজীবন দুঃখ ভোগ করতেছে। ঈশ্বর আমাদের সমুদায় মানসিক শক্তি ও মানসিক প্রবৃত্তিকে সম্পূর্ণ ৰূপে আমাদের ইচ্ছা ও কর্তৃত্বাধীন করিয়া দিয়াছেন । আমরা স্বেচ্ছানুসারে ভtহাদের পরিচালনা করিতে পার । কিন্তু সেই পরিচালনা হেতু যে সকল অভ্যাস উৎপন্ন হয়, তাহার প্রভাব আমাদের চরিত্ৰেতে ও জীবনের সকল কার্য্যেতেই প্র: কাশিত হয় । মানসিক অথবা শারীরিক কোন কার্য্যের পৌনঃপুন্য করণ ও তন্নিবন্ধন যে একটি ক্ষমত উৎপন্ন হয়, উভয়কেই সামান্য কথায় ঠাভ্যাস কহে। অভ্যাস হেতু মনের তিনটি গুণ উৎপন্ন হয় । প্রথমতঃ বারম্বার কোন কাৰ্য্য করিলে পর সেই কার্য্যের প্রতি একটি অগ্রছ জন্মে ; তাহা করিবার নিমিত্তে উত্তরোত্তর ঔৎসুক্যের বৃদ্ধি হয়। পানাসক্ত ব্যক্তি যতই ত্বাহার কুপ্রবৃত্তিকে চরিতার্থ করে,ততই তাহার আসক্তি বৃদ্ধি হয় । ইন্দ্রিয় পরায়ণ ব্যক্তি ইন্দ্রিয় সেবা দ্বারা কেবল তাহার রিপু দিগকে প্রবল করে। ধৰ্ম্ম প্রবৃত্তির পক্ষেও এই নিয়ম দৃষ্ট হয় । আমরা প্রথমে ধৰ্ম্মের অনুরোধে কোন ত্যাগ স্বীকার করিতে হয়তো কুষ্ঠিত হই, কিন্তু ক্রমে আমাদের স্বার্থপরতাকে উত্তরোত্তর বিসञ्जनं कब्रिप्ङ शेझ इञ्च । अश्वग्न ७शे जভ্যাস জনিত আগ্রহ ও ইচ্ছ। আবার অানন্দের কারণ হইয়া উঠে। অত্যাস বশতঃ